ভিকারুননিসায় ভর্তি বাণিজ্য এমপিও বাতিল হচ্ছে অধ্যক্ষের

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হাসিনা বেগম
যাযাদি রিপোর্ট নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগমের এমপিওভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার হাসিনা বেগমকে শোকজের (কারণ দর্শানো) চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দেয়া শোকজের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) ফারহানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এমনটি জানা গেছে। চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচ শতাধিক অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ ওঠে। নানা কৌশলে অতিরিক্ত আসন তৈরি করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগে উলেস্নখ করা হয়। অভিযোগ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অবৈধ ভর্তির বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) ফারহানা আক্তার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে আসনের অতিরিক্ত ৪৪৩ ছাত্রী ভর্তি করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম। সেখানে আরও উলেস্নখ করা হয়, অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে ইতোপূর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও ভর্তির নীতিমালা লঙ্ঘন করে ২০১৯ সালে পুনরায় বিভিন্ন শ্রেণিতে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাসিনা বেগমের বেতন-ভাতা (এমপিওভুক্তি) কেন বন্ধ করা হবে না- এ বিষয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।