দুদকে আসতে আরও তিন মাস সময় চান নূর আলী

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বনানী ডিসিসি-ইউনিক কমপেস্নক্স নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে আরও তিন মাস সময় চেয়েছেন ব্যবসায়ী নূর আলী। দ্বিতীয় দফায় রোববার তার দুদকে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩১ জুলাই তলব করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক এস এম আখতার হামিদ ভূঞা। সেদিনও তিনি হাজির না হয়ে সময় চাইলে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল দুদক। প্রণব বলেন, নুর আলী এবারও প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছেন। 'আবেদনে তিনি বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের পুরানো কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করতে এ সময় প্রয়োজন।' নূর আলী সময় চাইলে তার দ্বিতীয় দফার আবেদনের বিষয়ে রোববার দুপুর পর্যন্ত দুদক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নূর আলীকে দেয়া নোটিশে বলা হয়, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড চুক্তি ভঙ্গ করে ১৪ তলা ভবনের স্থলে ২৮ তলা নির্মাণ করে। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জমিতে ১৪তলা বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপেস্নক্স নির্মাণে ১৯৯৮ সালে চুক্তি হয়। পরে বোরাক ৩০ তলা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও তাতে অনুমোদন মেলেনি। গৃহায়ন ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বোরাকের সঙ্গে ৭০:৩০ অংশীদারিত্ব চুক্তি করে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ২০১২ সালে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ভবনটি নির্মাণের দায়ে বোরাক রিয়েল এস্টেটকে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (এখন দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক ও প্রশাসন শাখার মহাপরিচালক) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তখন বলেছিলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী ভবন নির্মাণের আগে অবস্থানগত ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বন্দোবস্ত চুক্তিতে ১৪ তলা ভবন নির্মাণের উলেস্নখ রয়েছে।