বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের শনাক্তে কমিশন হবে : আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দন্ডিত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কমিশনে কারা থাকবেন, কার্যপরিধি কী হবে সেটা আলোচনা করা হবে। এই কমিশনের কাজ হবে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের নেপথ্যে কারা জড়িত ছিল, তাদের খুঁজে বের করা। খুনিদের ফিরিয়ে আনা বা অন্য বিষয়ের সঙ্গে এই কমিশনকে যুক্ত করতে চাই না। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, কানাডার আইনে মৃতু্যদন্ড নেই। যদি কোনো দেশের কোনো মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেয়, তাহলে তারা তাকে রেখে দেয়। তবে নুর চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি কানাডা। আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য দেশটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আইনি এবং কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। একটু সময় হয়তো লাগবে, তবে কানাডা সরকার তাকে ফেরত দেবে। রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আইনমন্ত্রী বলেন, তাকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আগের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বেড়েছে। অন্য ৪ জন যাদের খবর পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা কিন্তু তাদের খুঁজে বের করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। অনেক কথা এখন বলা যাবে না। তবে আমাদের কাজ যেভাবে চলছে আমরা তাদের খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনতে সফল হব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সাহায্য চেয়েছি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। তারা আমাকে বলেছে ওকি ওই নামে আছেন নাকি ডেভিড নামে আছেন। নুর চৌধুরী কানাডায় আছেন। আমি কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি কোর্ট তো তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেননি, তাকে ফিরিয়ে দিন। তিনি বলেছেন, আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন। আশা করি নুর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে পারব। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক আব্দুল কাউয়ুম মুকুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া প্রমুখ।