শিক্ষাঙ্গনের ১০০ গজের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক চট্টগ্রাম নগরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫-এর বিধানমতে এসব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতা ও পৃষ্ঠপোষকদের মঙ্গলবারের মধ্যে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা এবং বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ধূমপান মানে বিষপান। ধূমপানের কোনো উপকারিতা আছে- সেটা আজ পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারে নি। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। এরপরও যত্রতত্র বিজ্ঞাপন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। 'তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত পণ্যের বিক্রি বন্ধে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, সবাই সহযোগিতা করবেন। তবে জনগণের মধ্যে সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা না হলে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে সমাজ থেকে ধূমপান ও তামাক সেবনের মতো সামাজিক ব্যাধি বন্ধ করা যাবে না। তাই সমাজ পরিবর্তনে নিবেদিত সামাজিক সংগঠনগুলোকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে'। এর আগে সম্প্রতি ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় পিপলস জুবিল্যান্ট এনগেজমেন্ট ফর টোব্যাকো ফ্রি চিটাগাং সিটি প্রকল্প, কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগর গড়ে তুলতে এবং তামাকের প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে এই ব্যাধি থেকে মুক্ত রাখার জন্য সর্বত্র সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, তামাকের সহজলভ্যতার কারণে তরুণরা দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে তামাকের দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, তামাক ব্যবহারে প্রতিবছর দেশে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়, যা দেশের বার্ষিক মোট মৃতু্যর ১৯ শতাংশ। দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন ব্যক্তির মৃতু্যর কারণ তামাক ব্যবহার। অনেকে ধূমপায়ী না হলেও পরোক্ষ ধূমপানের ফলে সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্যান্সার, হ্‌দরোগ, হাঁপানির মতো প্রাণঘাতী রোগ মহামারি আকারে বেড়েছে। পাড়া-মহলস্নায় দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় প্রবেশপথে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে যত্রতত্র তামাকপণ্য বিক্রি, প্রদর্শন, বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করে মাদকাসক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এর ফলে অনেক তরুণ বিপথে পরিচালিত হয়ে সমাজকে কলুষিত করছে।