সাক্ষরতার সঙ্গে দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট আজকের আধুনিক দুনিয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হলেও সমস্ত দুনিয়ার সমগ্র মানুষ আজও শিক্ষার আলো গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি নিজের পরিচয়ও লিখতে পারে না লাখ লাখ মানুষ। তাদের সাক্ষরতাদানের উদ্দেশে ইউনেস্কো একটি দিনকে সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। রোববার সাক্ষরতা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও পালন করেছে দিবসটি। এ উপলক্ষে সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাক্ষরতা দিবস। সাক্ষরতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় : বহুভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু সাক্ষরতা বাড়ালেই হবে না, একই সঙ্গে আমাদের জনগোষ্ঠীর দক্ষতাও বাড়াতে হবে। শিক্ষিত মানেই দক্ষতা বাড়ানো। সাক্ষরতার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে পারলে তবেই জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। একই সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে দেশের মধ্যেই তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করার জন্য। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। শুধু সরকারের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের এনজিওগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষিত এবং দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে। জাকির হোসেন বলেন, স্বাক্ষরতা জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে। নতুন দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। জীবনে যোগ করে নতুন পালক। জীবনব্যাপী শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করতে সবার আগে তাই প্রয়োজন স্বাক্ষরতা। ইতোমধ্যে ১৩৪টি উপজেলায় গণস্বাক্ষরতা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে ১১৬টি উপজেলায় তা চালু রয়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং সিড মানি দেওয়া হয়। আশা করি, শিক্ষা এবং দক্ষতার মাধ্যমে ভিশন টোয়েন্টিওয়ান পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আমাদের দেশের জনগণ। অনুষ্ঠান শেষে স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।