আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর তথ্য

কর্মকর্তাদের সরকারি ই-মেইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে 'ডিজিটাল নিরাপত্তা'বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা -বাংলা নিউজ
যাযাদি রিপোর্ট সরকারি ও অফিসিয়াল কাজে কর্মকর্তাদের সরকারি বা সরকার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। 'ডটগভডটবিডি' সংবলিত ই-মেইলের বাইরে অন্য পস্ন্যাটফর্ম বা ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের ওপর আরোপ করা হচ্ছে কড়াকড়ি। এর জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে 'ই-মেইল পলিসি'। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার এবং 'ডিজিটাল নিরাপত্তা' বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে কোর্সের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় কোর্সের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জানানো হয়, আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি ও এটুআইর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা কোর্স। ১৭টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে কোর্সটি সাজানো হয়েছে। এতে আছে ৮টি মডিউল, ২৩টি ভিডিও অধ্যায়, ১৬টি হ্যান্ড আউট ও একটি ফাইনাল পরীক্ষা। এটুআইর ই-লার্নিং পস্ন্যাটফর্ম 'মুক্তপাঠ' এর মাধ্যমে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি কর্তাদের ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহারে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তারা এখনো দাপ্তরিক কাজে শতভাগ অফিসিয়াল ই-মেইল ঠিকানা উলেস্নখ করেন না দাবি করে পলক বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা এখনো ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানা দিয়েই দাপ্তরিক কাজ করছেন। এটা ঠিক না। অবশ্য ৯০ শতাংশ কর্মকর্তাই করছেন। আবার অনেকেই জানেন না, বিসিসি (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) থেকে সব কর্মকর্তাকে একটি সরকারি ই-মেইল অ্যাড্রেস দেয়া হয়। এর শেষে থাকে ডটগভডটবিডি। আপনারা অনেকেই এখনো জানেন না। আমরা চাই সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি ই-মেইল ব্যবহার করবেন। কারণ একজন ব্যক্তির কারণে পুরো দেশ সাইবার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের সরকার প্রদত্ত ই-মেইল ব্যবহারে বাধ্য করতে আইন তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান পলক। তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে একটি 'ই-মেইল পলিসি' তৈরি করেছি, যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় আছে। বিসিসি থেকে একটি নোটিশ জারি করা হতে পারে সবার উদ্দেশ্যে সরকার প্রদত্ত ই-মেইল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার জন্য। পুরো দেশ যেখানে ডিজিটাল হচ্ছে সেখানে ঝুঁকিও থাকবে। তবে সেই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা কোনো ফাঁক রাখতে চাই না।' উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'সাইবার হামলা থেকে রক্ষার্থে সচেতনতা প্রথম জিনিস। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে সক্ষমতা। সক্ষমতা অর্জনে সরকার, প্রাইভেট খাত, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর তৃতীয় বিষয় হচ্ছে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ। এর জন্য আমরা কাজ করছি।' সাইবার হামলার মাধ্যমে বড় ধরনের ক্ষতি করা সম্ভব উলেস্নখ করে পলক বলেন, এখন কাউকে ক্ষতি করতে হলে হাতে আঘাত করতে হয় না। কোনো প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করতে হলে বড়ো কিছু করা লাগে। একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে এখন আর পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে হয় না। সাইবার হামলা করলেই হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা বলেছিলাম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে অন্তত একটি অনলাইন কোর্স দেব। এর জন্য সব ধরনের সাপোর্ট আমরা দেব। পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো কোর্স অনলাইনে নিয়ে যাব। এ ছাড়া মুক্তপাঠে বিভিন্ন কনটেন্ট আমরা রেখে দিতে পারেন এতে অল্প সময়ে অনেককে প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে।' অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির (ডিএসএ) মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম। কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএসএ'র পরিচালক তারেক এম বরকত উলস্নাহ এবং এটুআইর চিফ টেকনিক্যাল অফিসার আরফে এলাহি।