বাবা-ছেলেকে বাসচাপা: দুর্ঘটনা কিনা তদন্তের দাবি তথ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর শ্যামলীতে ট্রমা সেন্টারে বুধবার চিকিৎসাধীন আহত ইয়াসির আলভীকে দেখতে যান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট বাসচাপা দিয়ে বাবাকে হত্যার পর একই পরিবহনের আরেকটি বাস ছেলেকে চাপা দিয়ে আহত করার ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ঘটনা দুটি আদৌ দুর্ঘটনা নাকি, হত্যাকান্ড বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার রাজধানীর শ্যামলীতে ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন আহত ইয়াসির আলভীকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরার তুরাগে ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতালের সামনে থেকে বাসে ওঠার সময় অপরদিক থেকে আরেকটি বাস এসে সংগীত পরিচালক পারভেজ রবকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহতাবস্থায় তাকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংগীত পরিচালক পারভেজ রব নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে শনিবার উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় পরিবহনটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তার ছেলে ইয়ামিন আলভী ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান ছোটন। কিন্তু পরিবহনটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বাক্‌বিতন্ডার জেরে দুইজনের ওপরই বাস চালিয়ে দেন ভিক্টর পরিবহনের আরেক চালক। এতে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোটনের মৃতু্য হয় ও আলভী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংগীত পরিচালক পারভেজ রবকে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হলো। এরপর একই পরিবহনের আরেকটি বাসচাপায় পারভেজ রবের ছেলে আহত হলেন। ঘটনা দুটি বিশেষ করে পরের ঘটনাটি আদৌ দুর্ঘটনা কিনা, তদন্তের দাবি রাখে। পুলিশ এ ঘটনা দুটির তদন্ত করছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। একের পর এক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের দেশের কিছু কিছু ড্রাইভার বিশেষ করে বাস ও ট্রাকের ড্রাইভার খুবই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃত চাপা দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই সবগুলো দুর্ঘটনা নয়, অনেকগুলো হত্যাকান্ড। তারা দুষ্কৃতকারী এবং দুর্বৃত্ত। কিছু চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, ট্রাফিক আইন মানে না। বেপরোয়া এসব চালকদের অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সব শ্রমিক-মালিক সমিতিগুলো জনসাধারণ এবং প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ নিলে সড়কের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পারভেজ রবকে চাপা দেয়া বাসের রুট পারমিট ছিল না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুট পারমিট ছাড়া কিভাবে গাড়ি রাস্তায় বের হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সব সময় সড়কে শৃঙ্খলার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কবে নাগাদ এটি সম্ভব হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব দেশেই সড়ক দুর্ঘটনা হয়। কিন্তু এর ব্যাপকতা এবং বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করি, এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।