ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা

নেতা যত বড়ই হোক অপকর্মে ছাড় নেই

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের যারা অপকর্মে জড়িত তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল থেকে ইনফরমেশন সংগ্রহ হচ্ছে।'

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের বিআরটিসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -ফোকাস বাংলা
নেতা যত বড়ই হোক, যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক অপকর্মের সাথে যারাই জড়িত থাকবে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের বিআরটিসি সম্মেলন কক্ষে বিআরটিসির চলমান এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে 'দিকনির্দেশনা ও মতবিনিময় সভায়' প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, যারাই অপকর্ম করবে, দলের লোক হোক, বাইরের লোক হোক, যত প্রভাবশালী হোক সবার ব্যাপারে আইন একই ভাষায় কথা বলবে। আইনের শাসন একই রকম চলবে। তিনি বলেন, গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে জোর তদন্ত চলছে। অভিযোগ আসছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে। সব ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন নয়, কিছু কিছু প্রশাসনিক-আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যারা অপকর্মে জড়িত তাদের বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল রয়েছে, যারা এসব ইনফরমেশন সংগ্রহ করছে। যুবলীগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগ নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছে। মিডিয়ায় দেখলাম তারা ট্রাইবুলান গঠন করেছে। তারা নিজেরাই তাদের নিজেদের কোনো সমস্যা, সংকটের ব্যাপারে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে, ট্রাইবু্যনাল করছে ভালো কথা, শুভ উদ্যোগ। যুবলীগ নিজেরাই যদি নিজেদের সংকট সমাধানের ব্যাপারে বা অনিয়মের অভিযোগের সম্মুখীন হয়, সেই অভিযোগের মোকাবেলায় ট্রাইবু্যনাল গঠন করে সেটি আমার পর্যবেক্ষণে রাখছি। রংপুর-৩ আসন জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির বিষয়টি আমরা দেখছি। আমরা মাঠের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। অবশ্য জাতীয় পার্টিকে দেয়ার বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। বিআরটিসির বাস সার্ভিস নিয়ে তিনি বলেন, লাভ বড় করে না দেখে, জনগণের সার্ভিসে গুরুত্ব দিতে হবে। বিআরটিসিতে সচ্ছলতা নিশ্চিত করা গেলে এখানে লাভের মুখও দেখা যাবে। বিআরটিসির চেয়ারম্যান আসে, চেয়ারম্যান যায়। ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। বার বার সেই পুরানো অভিযোগ। তিনি আরো বলেন, ঠিকমত গাড়ি মেরামত হয় না, কিছু কিছু ডিপোর শ্রমিকরা বেতন পায় না। এখানকার দুর্নীতি নিয়ে প্রায়ই লেখালেখি হয়। নতুন চেয়ারম্যানকে বলেছি- জনবল কম হলে কম নিয়েই কাজ চলবে, কিন্ত দুর্নীতিবাজদের দরকার নেই। হেলপারকে দিয়ে বাস চালাবেন না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।