বিআরডিবিকে 'বঙ্গবন্ধু পলস্নী উন্নয়ন অধিদপ্তর' করার দাবি

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার বিআরডিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা -যাযাদি
বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পকে (বিআরডিবি) 'বঙ্গবন্ধুু পলস্নী উন্নয়ন অধিদপ্তর' করার দাবি জানিয়েছেন এই প্রকল্পে কর্মরত আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। একই সঙ্গে শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর বা আত্মীকরণের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান তারা। সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিআরডিবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঋণ বিতরণ করায় তৃণমূল পর্যায়ে অনেক অসহায় গরিব মানুষ এখন সাবলম্বী। ঋণের মাধমে গরিব মানুষের ভাগ্য বদল হলেও এই প্রকল্পে কর্মরতদের ভাগ্যের কেনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্পে নিয়োগ দেয়ার সময় নিয়োগ পদের প্রোফাইলে বলা হয়েছিল, আমাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে। ২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। এর বিপরীতে আমাদের কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর জন্য বলা হয়। যেসব ঋণের সুদ হার ২২ শতাংশ। এখন স্থানীয়রা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চান না, এসব ঋণের সুদ থেকে আমাদের বেতন সম্পন্ন হয় না। আমরা নতুন কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচির পরিবর্তে স্থায়ীকরণের দাবি জানাই। বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিআরডিবির বাস্তবায়নধীন ১৯৯৭ সালের পূর্ব গৃহীত প্রকল্পে প্রায় আট হাজার জনবল রয়েছে। যারা মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিআরডিবির নাম পরিবর্তন করলে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, একই সঙ্গে কাজের গতি ফিরে পাবে। পাশাপাশি দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বিআরডিবি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। এটা বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া প্রকল্প। ইতোমধ্যে আমরা ১৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছি।