সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেই

ম লঞ্চ মালিকদের কাছে অসহায় বিআইডবিস্নউটিএ

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কিশোর সরকার
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী একটি লঞ্চ -ফাইল ছবি
সারাদেশে নৌপথে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিস্নউটিএ) সাথে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাপ) সংস্থার বৈঠকে ১১ দফা সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। নেই রোটেশন প্রথা বন্ধের উদ্যোগ। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন রুটের নৌপথে রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চ কমিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার অভিযোগে পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসক নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই বিআইডবিস্নউটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক হয়। বৈঠকে সদরঘাটে খেয়া পারাপারের সময় লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা বন্ধে পন্টুনের উভয় পাশের খেয়া ঘাট স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণরোধে নদীতে নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা বন্ধ, সদর ঘাটে যাত্রীদের ব্যাগেজ ও লাগেজ বহনে কুলিদের অত্যাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া, গুরুত্বপূর্ণ সকল নৌরুটে বিকন, মার্কা স্থাপন, লঞ্চে তেল-পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র তোলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান দেয়া, নিরাপদ লঞ্চ চলাচলের জন্য ভৈরব লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটের মাঝে স্পিডবোড ঘাট স্থান্তর করা, চাঁদপুর ও বরিশাল ২টি এবং কাঠপট্টি ১টি পন্টুন স্থাপন, বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে পদ্মা রেল সংযোগ ব্রিজের উচ্চতা একই রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এর বেশির ভাগেরই বাস্তবায়ন নেই। তবে জেলা প্রশাসকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সভা হলেও রোটেশন প্রথার মাধ্যমে বিভিন্ন রুটে লঞ্চ কমিয়ে যাত্রী জিম্মি করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বিআইডবিস্নটিএর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। জানা গেছে, ঢাকা-ভান্ডারীয়া-হুলারহাট রুটে ৮টি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে লঞ্চ মালিক সমিতি সম্মতিতে বিআইডবিস্নউটিএ অনুমোদন দেয়। কিন্তু ঈদের সময় সব লঞ্চ চললেও এক সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ৩টি চলাচল করে। বর্তমানে চলছে দুটি লঞ্চ। একইভাবে ঢাকা-বরগুনা রুটে ১০টি লঞ্চ চলাচলের অনুমোদন দেয়া থাকলেও বর্তমানে চলছে দুটি। ঢাকা-ভোলা রুটে ১২টি লঞ্চ চলাচলের অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে প্রতিদিন তিনটি আসে তিনটি যায়। অথচ প্রতিদিন ৬টি লঞ্চ যাওয়া ও ৬টি আসার কথা। ঢাকা-বোরহানউদ্দিন ৪টি লঞ্চের চলাচলের অনুমোদন থাকলেও চলাচল করছে দুটি। এছাড়া ঢাকা-জাহাজমারা (হাতিয়া) নৌরুট একটি কোম্পনির দুটি লঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। এই লঞ্চ দুটির মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় অন্য কোন লঞ্চ চলাচলের অনুমতি পাচ্ছে না। এভাবে সারাদেশের অধিকাংশ রুটে মালিকরা সিন্ডিকেট করে রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চ কমিয়ে যাত্রী জিম্মি করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বিআইডবিস্নটিএর চেয়ারম্যান কমোডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বলেন, সংস্থাটি কোন লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিতে হলে মালিক সমিতির অনুমতি নিতে হয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না।