ভারত থেকে আসছে ২০টি রেলইঞ্জিন

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট আগামী অক্টোবরে ভারত থেকে ২০টি লোকোমেটিভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ভারত ও চীন সফর করে ফেরা মন্ত্রী মঙ্গলবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, 'বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে' ভারতীয় রেল বিভাগ এই ইঞ্জিনগুলো দিচ্ছে। 'রেলে লোকোমোটিভ সংকট রয়েছে। ভারতীয় ঋণে যেসব ইঞ্জিন আসার কথা, সেগুলো ২০২২ সাল নাগাদ পাওয়া যাবে। এর আগে রেলের ইঞ্জিন সংকট কাটাতে আমরা তাদের কাছে ক্রয় অথবা ভাড়ায় কিছু ইঞ্জিন চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ২০টি ইঞ্জিন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দিতে রাজি হয়েছে। এর ১০টি মিটার গেজ এবং ১০টি ব্রড গেজ।' অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই লোকোমেটিভগুলো হস্তান্তর হবে বলে আশা করছেন রেলপথমন্ত্রী। তিনি জানান, বর্তমানে রেল?ওয়ের ২৩৩টি লোকোমোটিভ রয়েছে, তবে এর ৬৮ শতাংশের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের চলাচল সপ্তাহে চার দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে ভারতীয় রেলওয়েকে রাজি করিয়েছেন বলে জানান সুজন। খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা বাড়ানোর আশাও করছেন তিনি। 'এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে চার দিন চলাচল করে। এটাকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে চাই। মানে ছয় দিনে ১২ বার চলাচল করবে। বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক দিনের বদলে সপ্তাহে যেন তিন দিন চলতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।' চীন সফর নিয়ে সুজন বলেন, দেশটির রেল যোগাযোগব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন তিনি, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজে দেবে। ২০২১ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময়?ই পদ্মা রেলসংযোগ চালুর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পদ্মা সেতুতে সড়ক ও রেল যাতে একসঙ্গে উদ্বোধন করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। 'পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।' সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।