যাযাদি রিপোর্ট
উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ পূজামন্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, সভায় সাম্প্রতিক সময় পূজামন্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সব ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না। কিছু ঘটনা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেও ঘটেছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এবার এক হাজারেরও বেশি পূজামন্ডপ বাড়বে। এ বছর ৩১ হাজার ১০০ পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩৭টি পূজামন্ডপ স্থাপন করা হবে। পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় মন্ডপগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খল বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ,র্ যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। আমরা বলেছি, পূজামন্ডপে যেখানে বিদু্যৎ থাকবে, সেখানে যাতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি থাকে।
পূজামন্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনার মধ্যে সবকিছু উদ্দেশ্যমূলক, তা নয়। এখানে নেতৃত্ব নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। যেগুলো উদ্দেশ্যমূলক, সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাতে এসব ঘটনা আর না ঘটে। কিছু কিছু ঘটনা নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মন্ডপে কমিটি থাকবে। তারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এবার নারী স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। আগুনের ঘটনা ঘটলে রেসকিউ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এগিয়ে আসবেন।
মন্ডপে বিদু্যৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে জানিয়ে তিনি বলের, পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহ দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ডপের আশপাশে বখাটেরা যাতে নারীদের কোনো ধরনের উত্ত্যক্ত করতে না পারে, তাদের রোধে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে। সেখান থেকে সব মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া ৯৯৯ সার্ভিস ভালো রেজাল্ট দিচ্ছে। পূজায়ও এটি কাজে লাগবে।
