ঋণ দিতে ব্রিফকেস নিয়ে ঢাকায় হাঁটছেন বিদেশিরা: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এম এ মান্নান
যাযাদি ডেস্ক বাংলাদেশকে ঋণ দিতে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে বিলয়নস অব ডলার ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা। তাহলে কেন আমরা ডোনার ফান্ড চাইব? শনিবার চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় দ্রম্নত বাড়ছে। প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেবো। আবার সময়মতো পরিশোধও করব। কারণ আমরা সাদাকে সাদা বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যারা দেশ পরিচালনা করছি- উই উইল সেক্রিফাইস এভরিথিং, বাট নট আওয়ার ডিগনিটি। এম এ মান্নান বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্র ১ শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড থেকে আসে। তাহলে এটা নিয়ে এত কথা বলার কী আছে? ফান্ড যদি ইনসাফিসিয়েন্ট হয়, ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেব। তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। উই ডোন্ট লাইক দিস। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ৭৩ বা ৭৪ সালে অনেক ডোনেশন আসত। আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশিরা বাহাদুরি দেখাত। কিন্তু এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখার দরকার নেই। সোজা কথা- কেউ যদি বন্ধুত্বের হাত আমাদের প্রতি বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরাও হাত বাড়াব। তবে প্রভুত্ব মেনে নেব না। এম এ মান্নান বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানির অভিযোগ করেছেন আপনারা। সার্ভিস চার্জ কমানোর এবং ঋণের সুদসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। দ্রম্নত যাতে এসব সমস্যার সমাধান হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব। ব্র্যাকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী।