হামদর্দের এমডির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মারামারি

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউছুফ হারুনের বিরুদ্ধে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে -বিডি নিউজ
যাযাদি রিপোর্ট হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউছুফ হারুনের বিরুদ্ধে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির উপদেষ্টা সুফি সাগর শামস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে হঠাৎ একদল লোক মিলনায়তনে ঢুকে ফেস্টুন হাতে আয়োজকদের বিরুদ্ধে স্স্নোগান দিতে শুরু করে। তাদের ফেস্টুনে লেখা ছিল- 'প্রতারক সুফির বিচার চাই', 'সুফি সাগরের ফাঁসি চাই', 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রতারক সুফির ঠাঁই নাই'। এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকদের 'প্রতারক-চিটার' আখ্যায়িত করা হচ্ছিল তাদের স্স্নোগানে। সংবাদ সম্মেলনে থাকা সাগর শামসের লোকজন এ সময় ফেস্টুনধারীদের পরিচয় জানতে চান এবং তাদের সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করতে বলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ফেস্টুনধারীদের একজনকে ধরে সাগর শামসের লোকজন পিটুনি দেয়। অন্যারা তখন তাকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ মারামারি চলে। সাগর শামস সাংবাদিকদের বলেন, 'এই হালাকারীদের ইউছুফ হারুন পাঠিয়েছে। তারা আমাদের ওপর হামলা করে সংবাদ সম্মেলন পন্ড করতে চেয়েছিল।' সাংবাদিকরা ফেস্টুনধারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা কোনো কথা না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সাগর শামস পরে সংবাদ সম্মেলনে ইউছুফ হারুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে তার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে লক্ষ্ণীপুর জেলার রায়পুর থানা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইউছুফ হারুন। তিনি হারিছ কমান্ডারের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনীতে যোন দান করেন।' সাগর শামস বলেন, 'স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও ইউছুফ হারুনের মত রাঘব-বোয়ালদের নাম রাজাকারের তালিকায় না আসাটা দুঃখজনক।' ইউছুফ হারুন হামদর্দের একজন বিক্রয়কর্মী থেকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হয়েছেন মন্তব্য করে সাগর শামস বলেন, 'সরকারের অনুমোদন ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসকে বিভ্রান্ত করে একটি গেজেট প্রকাশ করে নিজেকে হামদর্দের আজীবন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চিফ মুতাওয়ালিস্ন এবং তার অবর্তমানে তার উত্তসূরিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন।' যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ইউছুফ হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের তদন্ত সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকও তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বলে সাগর শামস জানান। অভিযোগের বিষয়ে হামদর্দ এমডির বক্তব্য জানা যায়নি।