গ্রেপ্তাররা কেউ কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয় : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট বিভিন্ন ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যাদের ধরছে, তাদের কেউ 'কেঁচো বা চুনোপুঁটি নয়' বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, 'এর পেছনে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।' গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের '৬০টি ক্যাসিনো চালানোর' খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। গত বুধবার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করের্ যাব। অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওই ক্লাবের সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এর দুই দিনের মাথায় শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমন্ডি ক্লাবেও অভিযান চালায়র্ যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমন্ডি ক্লাবের বারে কী পরিমাণ মদের মজুদ আছে- সেই হিসাব জমা দিতে বলা হয়। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের পেছনে কারা রয়েছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'যাদের ধরা হচ্ছে কোনোটাই কেঁচো নয়, কোনোটাই চুনোপুঁটি নয়।' যাদের ধরা হয়েছে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে, এমনকি মন্ত্রী পর্যায়েও 'কমিশন' দিয়েছে বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সে বিষয়েও তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রথমত তারা যে কথাগুলো বলেছে, সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আমি দুই এক জায়গায় দেখেছি, কিন্তু এ কথাগুলো স্টিল নট ভ্যালিডেটেড। অবশ্যই তাদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে।' আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'আওয়ামী লীগ তৃতীয়বার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক অনুপ্রবেশকারী আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকেছে। তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরিচালনায় জুয়ার আসর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'উনাদের যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান), উনিতো বড় অজগর সাপ। সব গিলে খেয়ে ফেলে।' 'প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানেই দুর্নীতি- সেটির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এর জন্য তো বিএনপির বরং সরকারকে সাধুবাদ জানানো দরকার।' মাদক কিংবা ক্যাসিনো- যেখানে যে অনিয়ম হচ্ছে, সেখানেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কে কোন মতের কোন পথের তা দেখা হচ্ছে না, এটা বিএনপির আমলে করা হয়নি। বিএনপির আমলে তারা বরং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল; হাওয়া ভবন বানিয়ে প্রত্যেক ব্যবসায় ১০ পারসেন্ট কমিশন বসানো হয়েছিল।' প্রধানমন্ত্রী এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এতে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা, সাধুবাদ দেয়ার কথা, আর তাদের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা পাওয়ার কথা। তাদেও তো এ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।'