পেতে হলে কিছু দিতে হয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পাওয়ার জন্য দিতেও হয়, এটাই নিয়ম। সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্বে থাকে।' শনিবার দিলিস্নতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার, বন্দর ব্যবহার ও গ্যাস বিক্রি নিয়ে এসব চুক্তি ভারতের পক্ষে গেছে বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সব দিয়ে দিয়ে ফেলেছি এরকম তো বিষয় নয়। আমরা যা এনেছি সেটা হল আমাদের পাওয়ার বিষয়টা অনেক বেশি, কারণ সীমান্ত সমস্যার সমাধান আমরাই করেছি। সীমান্ত চুক্তির যে বাস্তবায়ন তা ৬৮ বছর পর বাস্তবায়ন ও কার্যকর করতে পেরেছি। পৃথিবীর কোনো দেশে ছিটমহল হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়নি।' সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, 'সমুদ্রসীমার বিষয়ে ভারত আপিল করেনি, তারা তো করতে পারত। সম্পর্কটা ভালো থাকলে সব কিছুই পাওয়া যায়। সম্পর্কটা বৈরিতার মধ্যে থাকলে কিছুই পাওয়া যায় না।' তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হবে- এমন আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সম্পর্ক ভালো থাকলে সময়ের ব্যাপার, গঙ্গা চুক্তি শেখ হাসিনার আমলে হয়েছে, তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনার আমলে ইনশাআলস্নাহ হবে।' তিস্তার আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, 'ভারতের ইন্টারন্যাল একটা প্রবলেম আছে, আপনারা জানেন। যেহেতু এটি পশ্চিমবঙ্গের বিষয়, পশ্চিমবঙ্গের যে সরকার সে সরকার ফেডারেল সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে। সেখানে তাদের মধ্যে ঐকমত্যের ব্যাপার আছে, বোঝাপড়ার ব্যাপার আছে, ইন্টারন্যাল প্রবলেম হচ্ছে। এখানে ভারত সরকারের সদিচ্ছা বা আন্তরিকতার কমতি আছে এট মনে হয় না।' ক্যাসিনোকান্ডে নাম আসার তিন সপ্তাহ পর যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে নাটক বলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি থেকে দৃষ্টি সরাতেই সরকার সম্রাটকে গ্রেপ্তার করার জন্য চুক্তির পরের দিনটি বেছে নিয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'এটা কি হাস্যকর মনে হয় না? দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, সেটার সাথে এর সম্পর্ক কী? এই যোগসূত্রটা তারা কোথা থেকে আবিষ্কার করলেন? এই রহস্যটা আমি জানতে চাই।' সম্রাটকে গ্রেপ্তারে বিলম্বের কারণ সম্পর্কের্ যাবের ডিজি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্তব্য করে কাদের বলেন, 'বাংলাদেশে এখন শেষ পর্যন্ত কেউ রেহাই পায় না; কিন্তু পালিয়ে থাকার চেষ্টা করলে বা চাইলে ঢাকা এতবড় সিটি, কিন্তু ফলপ্রসূ হয় না।র্ যাবের ডিজি তো বলেছেন, সে বাইরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছিল, তাই সীমান্তের কাছাকাছি ছিল। এটার সঙ্গে ভারত সফরের বিষয়।'