আকামা থাকা সত্ত্বেও ফেরত পাঠাচ্ছে সৌদি

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সৌদি আরব থেকে আরও ১০৫ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ার লাইন্স এসভি ৮০৪ ফ্লাইটে ৪২ ও রাত ১টা ১৫ মিনিটে আরেকটি বিমানে ৬৩ জন দেশে ফেরেন। এ নিয়ে সৌদি থেকে ধরপাকড়ের মুখে চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ বাংলাদেশি কর্মী। অন্যদিনের মতো মঙ্গলবারও ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়। ফেরত আসাদের একজন পিরোজপুরের শামীম দাবি করেন, মাত্র দেড় মাস আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কিন্তু আকামা থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আরেক কর্মী মুন্সীগঞ্জের মহিউদ্দিন জানান, ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। আকামাসহ বৈধভাবেই ছিলেন। দুদিন আগে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সৌদি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আকামা দেখালেও তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আটকের কারণ জানতে চাইলে মারধর করা হয়। শামীম ও মহিউদ্দিনের মতোই নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানান নোয়াখালীর সাইফুল, কুমিলস্নার রাজু, ঢাকার রাসেলসহ আরও অনেকেই। দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, আকামা থাকা সত্ত্বেও তাদের ধরে সবজি, খেজুর ও পানি বিক্রিসহ ভিক্ষা করার মতো মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশে পাঠানো হচ্ছে। ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি মাসেই দেশে ফিরলেন ৪৪১ কর্মী। এ বছর ১০ থেকে ১১ হাজার কর্মী সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করলে কর্মীদের ফেরত পাঠানো হতো। কিন্তু এবার ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই বলছেন, তাদের বৈধ আকামা ছিল। আসলেই এমনটা হয়েছে কি না সেটা দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখতে পারে। কেন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে সেই কারণটা বের করে করণীয় ঠিক করা উচিত, যাতে নতুন করে যারা যেতে চাইছেন তারা বিপদে না পড়েন।