আত্মহত্যার কারণ নির্ধারণে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা কেন বাড়ছে, তা নির্ধারণে বেশি বেশি গবেষণা করতে বলেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, আত্মহত্যার সঠিক কারণটা নির্ধারণ করতে পারলে তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে 'মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরােধ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রালয়ের ন্যাশনাল টিম কাউন্সেলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। তাই আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে এলাকাভিত্তিক গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন। সঠিক কারণটা নির্ধারণ করতে পারলে সরকার সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বদলাচ্ছে সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবনধারা। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে মানসিক জটিলতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর। এজন্য ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধী অধিকার ও সুরক্ষা আইন সংশোধন করেছি এবং ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা হয়ে গেলে তা দূর করার থেকে আগে হতেই প্রতিষেধক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর এজন্য শুধু মানসিক পেশাজীবীই নয়; বরং সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। সেমিনারে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশা করা যায় এ সকল পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার হতাশা ও অস্থিরতা দূর করে তাদের মেধা ও মননকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। তবে এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন ও প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন প্রমুখ।