২০১৮-১৯ অথর্বছরে ঢাবির বাজেট ৭৪১ কোটি টাকা

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮, ১০:৪৬

ঢাবি প্রতিনিধি
২০১৮-১৯ অথর্বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাজেট ধরা হয়েছে ৭৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে এই বাজেট উত্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বাজেট উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন। গত ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটি এবং ৭ জুন সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাযর্ক্রম, শিক্ষক-কমর্কতাের্দর বেতন-ভাতা এবং সাধারণ কাযর্ক্রম পরিচালনায় ব্যয়ভার হিসাবে ২০১৮-১৯ অথর্বছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অথর্বছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে আকার বেড়ে দঁাড়িয়েছে ৭৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এ বছর বাজেটের আকার বেড়েছে দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের আকার বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অথর্বছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে সেটা বেড়ে দঁাড়ায় ৬৬৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অথর্বছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অথর্বছর সেটা ছিল ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অথর্বছরে ছিল ৩১৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এবারও বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হবে শিক্ষক-কমর্কতাের্দর বেতন-ভাতা, পেনশনসহ বিভিন্ন খাতে। এ বছর ৪৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যেটা মোট বাজেটের ৫৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষকদের বেতনের জন্য ১৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমশিন (ইউজিসি) এ বছর বাজেট নিদের্শনায় বলেছে, সরকারি অথর্ ব্যয়ে সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। মূল বরাদ্দের বাইরে বিশেষ প্রয়োজন ও ইউজিসির পূবার্নুমোদন ছাড়া কোনো জনবল নিয়োগ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আয় বাজেটে নিজস্ব আয়ের সঙ্গে অন্তভুর্ক্ত করতে হবে। ভতির্ পরীক্ষার ফরম বিক্রির আয়ের ৪০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা দিতে হবে। বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এর মধ্যে ইউজিসি দেবে ৬২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। নিজস্ব আয় বাবদ ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এ বছর ঘাটতি বাজেট দঁাড়িয়েছে ৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচাযর্ (প্রশাসন) ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ফিন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের সভায় অনুমোদন হয়েছে। আগামী সিনেট অধিবেশনে এটি পাস হবে। এবারের বাজেটে গবেষণা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।