আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইইউ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ইইউকে জানিয়েছি মানবাধিকার নিয়ে আমরা অত্যন্ত সচেতন। এটা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব সরকার পুরোপুরিভাবে পালন করছে।

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক -যাযাদি
মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, 'শ্রমিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে শ্রমিক অধিকারকে আমাদের দেশে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে তারা আলোচনা করতে এসেছেন।' বুধবার সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশ একটা উন্নয়নের রোল মডেল। তারা মানবাধিকার এবং শ্রমিক অধিকার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। এছাড়া এ দুই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে এর আগে যতগুলো কমিটমেন্ট আমি করেছি, সেগুলো রেখেছি। আজকে বাস্তবতা তারা শিকার করেছে। এখন আমরা এ বিষয়ে কীভাবে আরও অগ্রগতি করতে পারি, সেজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনা করতে চায়। শ্রমিক অধিকার আমাদের দেশে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়, সে জন্য তারা আলাপ-আলোচনা করতে এসেছেন। এ জন্য ইইউ কী চায় আমরা সেটাও জানতে চেয়েছি। আমরা কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি আর বাস্তবায়ন করেছি, সেটাও জানাব। এরপর কোথাও মতৈক্য থাকলে সেটাও আমরা বুঝতে পারব। আর যেখানে মতপার্থক্য হবে, সেটা কেন হলো আমরা বিশ্লেষণ করতে পারব। তিনি বলেন, ইইউকে জানিয়েছি মানবাধিকার নিয়ে আমরা অত্যন্ত সচেতন। এটা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। সে দায়িত্ব সরকার পুরোপুরিভাবে পালন করছে। উদাহরণ হিসেবে আমি বলেছি, নুসরাত হত্যা মামলা দ্রম্নত নিষ্পত্তিতে জনগণের দাবি ছিল এবং সরকারেরও অঙ্গীকার ছিল। এ মামলায় আইনের সব বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন শেষ করে এনেছি। এর ফলে বিচারিক আদালতে ২৪ অক্টোবর মামলাটির রায় হবে। আনিসুল হক এও বলেন, রিসা হত্যা ও ফাহাদ হত্যার মামলা দ্রম্নত নিষ্পত্তির বিষয়েও আমি বলেছি। র্ যাগিং বন্ধে কোন আইন করা হবে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, র্"যাগিং কথাটার জন্য হয়ত আইন নাই,র্ যাগিংয়ের মাধ্যমে যদি কোনো অপরাধ করা হয়, যদি থাপ্পড় দেওয়া হয়, সেটাও কিন্তু পেনাল কোডে অপরাধ হিসাবে ৩২৩ এ শাস্তিযোগ্য। "সম্প্রতির্ যাগিং এর কথাগুলো উঠে এসেছে। যারার্ যাগিংয়ের ভিকটিম তাদের উৎসাহ করবেন, তারা যেন নালিশ করে। নালিশ করলে আমাদের যথেষ্ট আইন আছে,যেগুলোর আওতায়র্ যাগিংয়ের মাধ্যমে যে অপরাধ করা হয়, সেগুলোর বিচার আমরা করবো।" "প্রচলিত আইনেই এ বিচার করা হবে," বলেন আনিসুল হক। তবের্ যাগিং বন্ধের জন্য আদালতে বিচারই একমাত্র পথ বলে মনে করেন না তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, "আইন আদালতে আসলেই সমাধান হবে, তা নয়। ইন হাউজ সিস্টেম বিল্ড করতে হবে। সেখানে নালিশ করলে প্রতিকার হবে এবং নালিশ করলে আরর্ যাগিং হবে না। এরকম কমপেস্নইন সিস্টেম গঠন করতে হবে।"