তিন দফা বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষক জোটের আল্টিমেটাম

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের নেতারা -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের নেতারা এ দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকার ঘোষিত ৫০ শতাংশ বেসরকারি চাকরিকাল গণনা করে গ্রেডেশন/পদোন্নতির তালিকা তৈরি করা, প্রধান শিক্ষককের প্রাপ্ত টাইম স্কেলের ভিত্তিতে উন্নীত স্কেল বাস্তবায়ন এবং প্রধান শিক্ষককের গেজেট থেকে বাদপড়া শিক্ষকদের গেজেট সংশোধন করে প্রধান শিক্ষককের গেজেট প্রকাশ। এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক মহাসমাবেশের মধ্যমে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-বিএনপির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা বিধিমালার ভুল ব্যাখার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে না দিয়ে শিক্ষকদের সরকারবিরোধী আন্দোলনে যেতে বাধ্য করছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকার এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে অবস্থান ধর্মঘট, অনশনসহ যা যা করার দরকার আমরা সব করব। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব। জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের চারটি সংগঠন ছিল। এ সংকটময় মুহূর্তে সব মতভেদ ভুলে চারটি সংগঠনের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক মহাজোট গঠন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অধিগ্রহণকরা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরি শর্তাবলি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ অনুযায়ী কর্মরত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল ও উচ্চতর বেতন স্কেল এবং সহকারী শিক্ষকদের টাইমস্কেল সুযোগভোগসহ কার্যকর চাকরিকালের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে জামায়াত-বিএনপির ঘাপটি মেরে থাকা কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধিমালা ২০১৩, বিধি ৯, উপবিধি-১ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। \হএর ফলে অধিগ্রহণ করা শিক্ষকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে শিক্ষকদের দাবিগুলো বস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আগামী ২০২০ সালে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণে সরকার স্পষ্ট ঘোষণা দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের উপদেষ্টা মৃগেন্দ্র মোহন সাহা, প্রধান সমন্বয়ক আব্দুর রহমান বাচ্চু, সমন্বয়ক শেখ আব্দুস সালাম, মাহবুবুর রহমান, মহিউদ্দিন খন্দকার, আব্দুল গফুর প্রমুখ।