বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে ফের জলাবদ্ধতা

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮, ১০:৫০

যাযাদি রিপোটর্
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের অলি-গলিতে হঁাটু থেকে কোমরসমান পানির পাশাপাশি এবার সড়কেও পানি উঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অলি-গলি ছাড়িয়ে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়েছে পানি। এতে চরম দুভোের্গ পড়েছেন হাজারও মানুষ। অফিসগামী লোকজন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রোববার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার পর রাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে এবং গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবারও এই ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে পূবর্বতীর্ ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ। এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে নগরের চকবাজার, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ, বকশিরহাট, আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুরসহ নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে হঁাটু থেকে কোমরসমান পানি পেরিয়ে অনেকে কমর্স্থলে গেছেন। নাছির উদ্দিন নামে চকবাজার এলাকার বাসিন্দা বলেন, বষার্কাল আসলেই আমাদের দুভোের্গর শেষ থাকে না। বষার্কালে খালের ওপর ব্রিজ তৈরি করছে। এখন নিমার্ণকাজ প্রায় বন্ধ। ভেবেছিলাম, জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাই এই বষার্ মৌসুমে জলাবদ্ধতা অনেক হ্রাস পাবে। কিন্তু সেটা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে সড়কে কোমরসমান পানি উঠে যাচ্ছে। আমাদের দুভোের্গর শেষ নেই। বাদুরতলা এলাকার সাকিব বলেন, বষার্কাল আসলেই আমরা পানিবন্দি থাকি। বৃষ্টি হলেই বাদুরতলায় পানি উঠে যায়। খাল-নালা পরিষ্কারের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। চাকতাই খাল খনন করা হয়নি। কিভাবে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরের জলাবদ্ধতা কমাতে কাযর্করী উদ্যোগ গ্রহণেরও জোর দাবি জানান তিনি।