২০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীতে পস্নট বিক্রির নামে ২০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ডুমনি-পাতিরা মৌজায় অবস্থিত পস্নটটি রাজউক থেকে অনুমোদন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। অথচ ১৮০০ গ্রহীতার কাছে পস্নট বিক্রির নামে এ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে রিলায়েন্স মডেল টাউন পস্নট ওনার্স ফোরামের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবুল হুসাইন ও সদস্যসচিব মো. ফরহাদ হোসেন এসব অভিযোগ করে বলেন, রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস চেয়ারম্যান-এমডি ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে এক হাজার আটশ পস্নটের গ্রাহক সমুদয় অর্থ পরিশোধ করা সত্ত্বেও দুই শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 'সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আতঙ্কে চক্রটি এখন বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া পস্নট বরাদ্দের মাধ্যমে এ বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হলেও প্রকল্পটিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।' ফোরামের পক্ষ থেকে এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, গণপূর্তমন্ত্রী ও রাজউকের কাছে ভূমিদসু্য ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, 'রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার, এমডি আরিফুর রহমান ওসমানী, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফরাজী ও ভাইস চেয়ারম্যান বিসিআইসির বরখাস্ত জিএম দেলোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ পরিচালকদের জিম্মি করে দেড় যুগ ধরে কোম্পানির পস্নট বিক্রির সকল টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন তাদের অফিস ও মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। যোগাযোগের সকল চেষ্টা করেও আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি।' তারা বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি-পাতিরা মৌজার ৪৩নং ওয়ার্ডে রিলায়েন্স মডেল টাউনের ১৮০০ পস্নটমালিক ও গ্রাহক রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানির প্রতারণার শিকার। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবাসী। কোম্পানিটির শুরু থেকে চেয়ারম্যান, এমডি, ভাইস চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় কোম্পানির বিভিন্ন পদে রয়েছেন। এ চক্রটি কখনো নিজেদের চেয়ারম্যান, কখনো এমডি বা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।' সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. মিয়াজ উদ্দিন, সদস্য আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন মোহন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, কাজী সহিদুল ইসলাম, মো. নূরে আলম এলাহী, সাইদুর রহমান, কাজী জাকারিয়া, আমিনুর রহমান, মাকসুজ্জামানসহ শতাধিক পস্নটগ্রহীতা উপস্থিত ছিলেন।