প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়মুখী নার্সদের মিছিলে পুলিশের বাধা

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রোববার মিছিল বের করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট বিভিন্ন দাবির স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পথে রওনা হওয়া নার্সদের মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে রওনা হওয়া বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের মিছিলটি কদম ফোয়ারার সামনে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে নার্সদের চারজন প্রতিনিধি স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। মিছিলে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাশার (পিআই) বলেন, 'সবাই রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে গেলে যানজটের সৃষ্টি হবে, এতে জনভোগান্তি বাড়বে। তাই চারজনকে যেতে দিয়েছি স্মারকলিপি নিয়ে।' নিজেদের দাবি সম্পর্কে পারমিতা নামের একজন ডিপেস্নামা শিক্ষার্থী বলেন, 'প্রতি বছর ৯ হাজার ২০০ জন দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে পাস করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য পরীক্ষা দেয়। কিন্তু এ বছর এখনো পরীক্ষা হয়নি, ফলে সবার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।' কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা পাস করে তাদেরও এ রেজিস্ট্রেশনের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতা করছেন তারা। পারমিতা বলেন, 'এটা কখনো হতে পারে না। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আর আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ভিন্ন। তারা এসে নার্সিং সেবার মান আরও নিচের দিকে নিয়ে যাবে এবং বদনাম বয়ে আনবে।' স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস অ্যালোকেশন অনুসরণ না করে এবং বিএনএমসির আইন-বিধান ভঙ্গ করে কারিগরি বোর্ডের 'পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের' ডিপেস্নামা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স তারা মানবেন না বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে তাদের পক্ষে বলা হয়েছে, বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৩৪, পরবর্তীতে ১৯৫২ ও ১৯৮৩ এবং বর্তমানে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ দ্বারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নার্সিং ও সহযোগী শিক্ষা পরিচালিত হওয়ায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কখনোই নার্সিং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বৈধ কর্তৃপক্ষ হতে পারে না।