সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী

পেঁয়াজসহ ৯ ফসলে প্রণোদনা পাবে সাত লাখ কৃষক

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বীজ ও সার প্যাকেটে করে এবং পরিবহণ খরচ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক -ফোকাসবাংলা
যাযাদি রিপোর্ট নয়টি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ দিতে প্রায় ৭ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ বিঘা ফসলি জমিতে পেঁয়াজসহ নয়টি ফসল উৎপাদনে বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরিবহণ বাবদ এই নগদ অর্থ দেওয়া হবে। বুধবার সচিবালয়ে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনা পাবে। প্রতিটি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার (ডিএপি ও এমওপি) এবং পরিবহণ খরচ দেওয়া হবে। বর্তমান রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, পেঁয়াজ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'বীজ ও সার প্যাকেট হিসেবে দেওয়া হবে। পরিবহণ খরচ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে।' অন্যান্য ফসলের সঙ্গে এবার পেঁয়াজে কৃষক প্রতি এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। সব মিলে এই আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে এক হাজার ৭১৪ টাকা। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রতি এক টাকা ব্যয়ের বিপরীতে এক টাকা ৮৩ পয়সা আয় হবে বলে সরকার আশা করছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় অর্থাৎ ফসল ওঠার সময় যেন আমদানি না হয় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ক্যাসিনো চালানোসহ অসদুপায়ে দ্রম্নত সম্পদ গড়ার চেষ্টা না করে 'গ্রীষ্মকালীন টমেটো' চাষের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে 'কৃষক বাঁচাও-দেশ বাচাও দিবস' উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন দলের সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য। কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'যারা ক্যাসিনোর মাধ্যমে রাতারাতি বড় লোক হতে চায়, যারা মাদক বিক্রি করে, মাদক পাচার করে, যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করে, আমি তাদের অনুরোধ করব, আপনারা দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের পথ বন্ধ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেন। তাহলে গ্রেপ্তার হতে হবে না, সামাজিক মর্যাদাও বাড়বে। তিনি বলেন, 'আজকে যারা ক্যাসিনো অভিযোগে অভিযুক্ত, তারা যদি ক্যাসিনো না করে কৃষি কাজ করতো তাহলে তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়তো। কৃষি একটা মর্যাদাপূর্ণ পেশা। এই পেশার সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।'