ঈদের টিকিট

ছুটির দিনে কমলাপুরে মানুষ আর মানুষ

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ট্রেনের আগাম টিকিট সংগ্রহ করতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। ছবিটি শুক্রবার তোলা -ফোকাস বাংলা
কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল ৮টায়, কিন্তু এ টিকিট পেতে আগের রাত থেকেই লাইনে দঁাড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। দিনভর কমলাপুরে ২৬টি কাউন্টার থেকে একযোগে চলে টিকিট বিক্রি। প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। গতকাল তৃতীয় দিনের মতো কমলাপুরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়। শুক্রবার দেয়া হয় ১৯ আগস্টের টিকিট। যারা টিকিট কিনতে গেছেন তাদের বেশিরভাগই আগের রাত থেকে সিরিয়ালে দঁাড়িয়ে। মানুষের এই লাইন দীঘর্ হয়ে স্টেশনের বাইরে গিয়ে ঠেকে। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে। আজ পাওয়া যাবে ২০ আগস্টের টিকিট আর ১২ আগস্ট মিলবে ২১ আগস্টের টিকিট। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি হবে। উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর ট্রেনের টিকিট পেতে গত রাত ১০টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সড়ক পথে যানজট, খানা-খন্দ আর ভোগান্তির কারণে রেলপথে এবার মানুষ বেশি ঝুঁকেছে। ছোট বাচ্চা থাকার কারণে গতবার ঈদে বাড়ি যাননি, এবার যেহেতু কোরবানি ঈদ, তাই যেতেই হবে, যে কারণে শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে টিকিটের লাইনে দঁাড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে যখন টিকিট কাউন্টারের সামনে আসেন তখনই স্টেশনে শত শত মানুষ। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তার সিরিয়াল এখনও অনেক জনের পরে। শেষ পযর্ন্ত কাক্সিক্ষত টিকিট পাবেন কিনা এটা নিয়েই চিন্তিত। এসি টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ : টিকিটের লাইনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দঁাড়িয়ে থেকেও অনেকেই এসির টিকিট পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন মনিরুল ইসলাম, স্ত্রী-সন্তানসহ আগামী ১৯ আগস্ট যাবেন রাজশাহী। সে লক্ষ্যেই গত রাতে লাইনে দঁাড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘গত রাত ১০টার দিকে এসে লাইনে দঁাড়িয়েছি, সারা রাত অপেক্ষা করার পর সকাল ৮টায় যখন টিকিট বিক্রি শুরু হলো তার কিছুক্ষণ পরই জানানো হলো এসি টিকিট শেষ। বাধ্য হয়ে নন-এসি শোভন চেয়ারের টিকিট কাটলাম। স্ত্রীসহ ছোট বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে যাব, কিন্তু ঈদের সময় এসি টিকিট না হলে মানুষের ভিড়ে সাধারণ সিট পযর্ন্ত পৌঁছানোই যায় না। তাহলে গত রাত থেকে লাইনে দঁাড়িয়ে আমার কী লাভ হলো? এসি সিটই পেলাম না।’ এ বিষয়ে কাউন্টারে কমর্রতরা বলছেন, ‘ঈদের সময় সবাই এসি টিকিট চায়; কিন্তু আমাদের এসি সিট তো সীমিত। তাহলে কীভাবে আমরা সবাইকে টিকিট দেব। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি ছাড়াও অনলাইন, ভিআইপি, রেলওয়ে কমর্কতার্-কমর্চারীদের কোটাও আছে। এছাড়া স্টেশনকেন্দ্রিকও এসি সিট বরাদ্দ থাকে। তাহলে সব গন্তব্যে সবার কাক্সিক্ষত এসি টিকিট আমরা কীভাবে দেব?’ বরাবরের মতো এবারও মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হয় কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কমর্কতার্-কমর্চারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবতীর্ বলেন, সকাল থেকেই টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের উপচে পড়া ভিড় স্টেশনে।