যাত্রাবাড়ী পাসপোটর্ অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য চরমে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মো. রকি পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি হাডর্ওয়্যার দোকানের কমর্চারী। বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোটর্ অফিসে যান আবেদন জমা দিতে। দীঘর্সময় লাইনে দঁাড়িয়ে যখন তার আবেদন জমা দেয়ার সময় এলো তখন তাকে জানানো হয় তার আবেদন সত্যায়িত করা হয়নি। এ সময় পাশ থেকে এক লোক ডাক দিয়ে অফিসের বাইরে নিয়ে রকিকে জানান, আরেকদিন আসতে হবে না ১৫০০ টাকা দিলেই সত্যায়িত করে এখনই তার আবেদন জমা করার ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। তবে শুধু সত্যায়িত করে দিলে তাকে ৫০০ টাকা দিলেই হবে। এমন চিত্র যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোটর্ অফিসে নিত্যদিনের ঘটনা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের ঝিলমিল প্রকল্পে স্থানান্তরিত হয় যাত্রাবাড়ী আঞ্চলিক পাসপোটর্ অফিস। এ অফিস থেকে ঢাকার ১৩টি থানার বাসিন্দাদের নতুন পাসপোটর্ করা ও নবায়নসহ এ সম্পকির্ত সব সেবা দেয়া হচ্ছে। থানাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী, খিলগঁাও, শাজাহানপুর, সবুজবাগ, ওয়ারী, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার। জানা যায়, বছর না যেতেই এ পাসপোটর্ অফিসকে ঘিরে সক্রিয় হয়েছে একাধিক দালাল চক্র। এসব দালাল চক্রের কাজ হচ্ছে সত্যায়িত থেকে শুরু করে আবেদন জমা দেয়া ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের কন্ট্রাক্ট নেয়া। দালাল চক্রের মধ্যে রয়েছে খোদ পাসপোটর্ অফিসের কমর্চারী থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। পাসপোটর্ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের নিচেই চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছে দালালরা। সেখানে বসেই তারা পাসপোটর্ করতে আসা লোকজনকে সেবা দেয়ার নাম করে ঠকিয়ে আসছে। পাসপোটর্ অফিসের বাইরের এসব দালালদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তেঘরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক মো. নূরনবী। নূরনবীর নেতৃত্বে পাসপোটর্ অফিসে কাজ করেন দেলোয়ার, সেতু, রাশেদ, সেলিম ও রওশনসহ প্রায় ১৫ জন দালাল। পাসপোটর্ অফিসের নিচেই চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছে দালালরা।