স্মার্ট কার্ড রপ্তানি করার আশা ইসির

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে 'স্মার্ট কার্ড' রপ্তানির আশা দেখছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম আশা করছেন, ২০২১ সালেই হয়তো তাদের সেই আশা পূরণ হবে। দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি নাগরিকের হাতে ২০২০ সালের মধ্যে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আসছে নির্বাচন কমিশন। তবে এ পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে মাত্র এক- তৃতীয়াংশ। শুরুতে একটি ফরাসি কোম্পানির আমদানি করা কার্ড এনে নাগরিকদের তথ্য যুক্ত করে তা বিতরণ করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল ২০১৮ সালের মধ্যে নয় কোটির বেশি নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে যাবে। কিন্তু ২০১৭ সালে জটিলতা তৈরি হলে ওই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। ফলে কাজও থমকে যায়। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) স্মার্ট কার্ড তৈরি শুরু করে সরকার। তিন বছরে সব মিলিয়ে এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন ৩০ শতাংশের মত ভোটার। মঙ্গলবার প্রবাসীদের জন্য অনলাইন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা নিজেরাই এখন স্মাট কার্ড তৈরি করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে অদূর ভবিষ্যতে স্মার্ট কার্ড রপ্তানির সুযোগও সৃষ্টি হবে। আশা করি, ২০২১ সালের জুলাই থেকে স্মার্ট কার্ড বিদেশে রপ্তানি সম্ভব হবে।' প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ওই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন। দূতাবাসের মাধ্যমে তাদেরও স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। বিশ্বের নানা দেশে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা এক কোটির বেশি। গত জুলাইয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ-সংক্রান্ত সর্বশেষ সভার কাযবিবরণীতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬০ লাখ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে ৩ কোটি ৩৩ লাখ পরিচয়পত্র নাগরিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসে অনেক কার্ড রয়ে গেছে, যেগুলো বিতরণ করা হয়নি বা নাগরিকরা নিতে আসেননি। এছাড়া নাগরিকের তথ্য না মেলায় অনেক স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ সম্ভব হয়নি। আগামীতে 'ক্র্যাশ প্রোগ্রামের' মাধ্যমে উপজেলা-সিটি এলাকার নাগরিকদের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছানোর পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন ইসি কর্মকর্তারা।