৭ নভেম্বরের নায়ক তাহের খলনায়ক জিয়া: ইনু

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১৫

যাযাদি রিপোর্ট
ঐতিহাসিক সিপাহি জনতার অভু্যত্থান স্মরণে বৃহস্পতিবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু -যাযাদি

৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভু্যত্থানে কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম নায়ক ও জিয়াউর রহমান খলনায়ক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার অভু্যত্থান স্মরণে জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ইনু বলেন, জাসদ প্রতিবছর ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভু্যত্থান দিবস হিসেবে পালন করে। কিছু দল ও লোক দিনটিকে সেনা কর্মকর্তা হত্যা দিবস, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস, বিএনপির পক্ষ থেকে বিপস্নব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু, আমি দিনটিকে সিপাহি জনতার অভু্যত্থান দিবসই বলব। এটা ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খুনিদের বিরুদ্ধে, জাতীয় চার নেতার খুনিদের বিরুদ্ধে, সামরিক শাসনের রাজনীতির বিরুদ্ধে, কিছু সেনা কর্মকর্তার ক্ষমতায় যাওয়ায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে, সংবিধান লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সিপাহি-জনতার মহৎ বিপস্নবী প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, যারা সিপাহি-জনতার বিপস্নবকে বিপস্নব ও সংহতি দিবস? বলেন, তারা কার্যত বঙ্গবন্ধুর খুনি ও জিয়াউর রহমানের অপকর্ম দুঃশাসন এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। ৭ নভেম্বরের কর্নেল তাহের ও জিয়ার ভূমিকা উলেস্নখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপস্নবী প্রচেষ্টার নায়ক ছিলেন কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম। আর এই বিপস্নবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন খলনায়ক। অভু্যত্থানের পর তার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সিপাহি-জনতার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যাহত হয়। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রক্তের হোলিখেলায় মেতে ওঠেন। কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। অনেক সিপাহিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাবেক মন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমানেরও শেষ রক্ষা হয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাসদের সুশাসনের সংগ্রাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের সংগ্রামে কর্নেল তাহেরের মতো সিপাহী-জনতার মতো বিপস্নবী-সাহসী কর্মী দরকার। জাসদ সেই বিপস্নবী কর্মী সরবরাহ করবে। জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল আখতারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি শাহ জিকরুল আহমেদ, সফিউদ্দিন মোলস্না, ফজলুর রহমান বাবুল, শহিদুল ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, নাইমুল আহসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মো. আনোয়ারুল হক, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব শামিম প্রমুখ।