ট্রুথ কমিশন গঠন করে ৭ নভেম্বর হত্যার বিচার দাবি

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট ট্রুথ কমিশন গঠন করে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সংগঠিত হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেছেন নিহতদের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদ মোশাররফ ট্রাস্ট আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যার বিচারের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে ২নং সেক্টর কমান্ডার ও কে-ফোর্সের সর্বাধিনায়ক খালেদ মোশাররফ, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, লে. কর্নেল আবু তাহেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জড়িত থাকলেও কমিশন গঠন করে বিচারের ক্ষেত্রে সেনা আইন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন খালেদ মোশাররফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের (বাংলাদেশ) প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর মেয়ে নাছিমা ওসমান, সবেক তথ্যসচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। খালেদ মোশাররফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করলেও খুনি ফারুক-রশিদ-ডালিম-নূর চক্র বঙ্গভবনে অবস্থান নিয়ে দেশের মূল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে। 'এমনকি ১৫ আগস্টের পর বঙ্গভবনে বসে জুনিয়র ওই সেনা কর্মকর্তারা উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর খবরদারিও করেছিল। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছিল',- বলেন মাহজাবিন। তিনি বলেন, দেশের সেই সংকটময় মুহূর্তে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর একটি সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে খুনি মোশতাককে ক্ষমতাচু্যত করেছিলেন খালেদ মোশাররফ। ৩ নভেম্বরের পর সেনানিবাসের ভেতর ওই টালমাটাল দিনগুলোতে একটি গুলিও ছুড়তে হয়নি। একজন মানুষকেও আঘাত করা হয়নি। মাহজাবিন বলেন, '৬ নভেম্বর রাত ১২টার পর ঢাকা সেনানিবাসে থেকে যখন তথাকথিত সিপাহি বিল্পবের সূচনা হয়, তখন খালেদ মোশাররফ ও অন্যারা বঙ্গভবনেই ছিলেন। ভোরের দিকে জিয়াউর রহমান খালেদ মোশাররফের অবস্থান জানার পর তার সঙ্গে কথা বলেন এবং দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর পরপরই কিছুসংখ্যক সৈনিক নওয়াজেশের অফিসের দরজা ভেঙে তিনজনকেই বাইরে মাঠে নিয়ে এসে গুলি করে হত্যা করে।' ট্রুথ কমিশন গঠনের বিষয়ে মাহজাবিন বলেন, ট্রুথ কমিশন গঠন করা হলে সেদিন কী হয়েছিল তার তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই সেদিন কী হয়েছিল তার সত্য বেরিয়ে আসুক। সেদিন জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর মেয়ে নাছিমা ওসমান বলেন, সেদিন সেনানিবাসের মধ্যে আমার সামনেই আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা ৭ নভেম্বর যেসব হত্যা হয় তার বিচার চাই। ট্রুথ কমিশন গঠনের কথা উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, ট্রুথ কমিশন গঠন হলে কীভাবে সেদিন হত্যা করা হয় তা বেরিয়ে আসবে।