গ্রামকে শহরে রূপান্তরে কাজ করছে ডিজিটাল সেন্টার

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তাজুল ইসলাম
যাযাদি রিপোর্ট গ্রামাঞ্চলে মানুষের শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার। এর মাধ্যমে গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে ডিজিটাল সেন্টার। সোমবার ডিজিটাল সেন্টারের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একথা জানিয়েছেন সরকারি নীতিনির্ধারকরা। এদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টার নিয়ে 'ইনোভেশন টক' সেশনের আয়োজন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন হচ্ছে দেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করা। অর্থাৎ, শহরের সব সুবিধাই গ্রামীণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া। শুধু নদীভাঙন বা দারিদ্র্যের কারণেই মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে না। বরং, শিক্ষিত যুব সমাজের মধ্যেও শহরে আসার প্রবণতা বেশি। তাদের যদি আমরা গ্রামে রেখেই শহরের সুবিধা দিতে পারি, তাহলে আর তারা শহরে আসবে না। এক ঢাকা বা চট্টগ্রামে ১৬ কোটি মানুষকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়েই ঢাকা বা দেশ তো বটেই, পুরো বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া যায়। আর এই কাজটিই করছে ডিজিটাল সেন্টার। গ্রামে থেকে শহুরে সুবিধাগুলো এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নিতে পারছেন সেখানকার জনগণ। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইসিটি ডিভিশন এবং আমরা একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল সেন্টারের কাজে কোথাও কোথাও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সেন্টারগুলোর স্থান পাওয়া নিয়ে। তবুও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় সব ডিজিটাল সেন্টারের জন্য আলাদা 'ডেডিকেটেড রুম' দেওয়া হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল বা সিটি করপোরেশনগুলোতে অনেক সেবা দেওয়া হয় বলে কোথাও কোথাও ডিজিটাল সেন্টার কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সেগুলো অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে এখন প্রায় ৫ হাজার ৮৬৫টি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। এসব সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। আমরা ১৫০টির বেশি সেবা ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দিচ্ছি। কিন্তু, এখানেই শেষ নয়। প্রতি মুহূর্তে সেবার ধরন পাল্টাচ্ছে। মানুষের কাছে এসব সেবা পৌঁছে দিতে নতুন নতুন কৌশল নিতে হচ্ছে আমাদের। সেই কাজটি এটুআই করছে। আমাদের আরও অন্তত ২ হাজার ৮০০টি সরকারি সেবা ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্মে নিতে হবে। তার মধ্যে অন্তত এক হাজার সেবা ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা যে, আমাদের নাগরিকদের যেন স্বশরীরে আর সরকারের কোনো অফিসে যেতে না হয়। নাগরিক যাবে না, বরং সরকারি সব সেবা নাগরিকের কাছে যাবে। এটাই আমাদের 'আল্টিমেট গোল'। এটুআই'র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর মডারেশনে ইনোভেশন টক-এ আরও অংশ নেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এলজিআরডি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, এটুআই'র প্রকল্প পরিচালম ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ডিজিটাল সেন্টারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায় থেকেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনেকে এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।