বুধবার আসামিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে নিয়ে যান পুলিশ -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর ধানমন্ডিতে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহপরিচারিকা দিতিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা হলো- ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েত, বাড়ির ম্যানেজার গাউসুল আজম প্রিন্স ও গৃহকর্মী আতিকুল হক বাচ্চু।
বুধবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রবিউল আলম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল আলম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে আসামি নুরুজ্জামানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৭ নভেম্বর মামলার অন্যতম আসামি সুরভী আক্তার নাহিদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া পাঁচজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা হলো- মো. নুরুজ্জামান, গাউসুল আজম প্রিন্স, মো. আতিকুল হক বাচ্চু, বেলায়েত হোসেন ও সুরভী আক্তার নাহিদা।
গত ৪ নভেম্বর ধানমন্ডি থানা থেকে মামলার তদন্তভার ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের একটি টিম এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সুরভীকে গ্রেপ্তার করে। অন্য অভিযুক্তদের ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১ নভেম্বর ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডে অবস্থিত ২১ নম্বর বাসার ই-৫ ফ্ল্যাটে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহপরিচারিকা দিতি খুন হন। খুনের ঘটনায় ৩ নভেম্বর আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবা (৪২) ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।