রোববার পরীক্ষা শুরু

প্রাথমিক সমাপনীর জন্য প্রস্তুত ২৯ লাখ শিশু

এ বছর মোট ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি। এছাড়া তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়িতে ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় বসবে।

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন -যাযাদি
এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বসছে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার এক লাখ ৯২ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী কমেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর রোববার সারাদেশে শুরু হচ্ছে প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর এ পরীক্ষা। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এবার ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ও ছাত্রী ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন কম হয়েছে। অন্যদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ের ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে, যার মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ এবং ছাত্রী এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। ইবতেদায়িতে গতবারের তুলনায় ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর মোট ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি। এছাড়া এবার প্রাথমিকে তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়িতে ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় বসবে। প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী প্রতি বছর কমছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রাথমিকে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার, তার পর থেকে কমা শুরু হয়েছে। 'এরপর ২০১৬ সালে ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ২৮ লাখ ৬ হাজার ৯৬ জন এবং ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার- প্রত্যেক বছরে কমছে। তার মানে এই নয় যে ড্রপ আউট হচ্ছে, ড্রপ আউট মাত্র ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ, ড্রপ আউট আরও কমানো হয়েছে।' ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ১৪টি জেলায় যে স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খুব দ্রম্নত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে সচিব বলেন, বইপত্র যাদের নষ্ট হয়েছে তা দিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষার খাতা দেখায় স্বচ্ছতা আনতে এবার এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সারাদেশে সর্বমোট সাত হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দেশের অভ্যন্তরে সাত হাজার ৪৫৮টি এবং আটটি দেশে ১২টি কেন্দ্র রয়েছে। দেশের বাইরে সৌদি আরবে চারটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি এবং বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, লিবিয়া, গ্রিস ও কাতারে একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১৫ জন, এর মধ্যে ২৮৯ জন ও ছাত্রী ৩২৬ জন। পরীক্ষার সূচি : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২০ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২১ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২০ নভেম্বর আরবি, ২১ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০:৩০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। মোট ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।