ডিজিটাল সরকার এনালগ পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি অসাধু মজুতদারদের অতি মুনাফা অর্জনের কৌশল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ার যে অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়, প্রায় অভিন্ন আদলেই বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মূল্য বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটাল সরকার সিন্ডিকেটের প্রাচীন এনালগ পদ্ধতির কাছে পরাজিত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এ মূল্য বাড়ার ঘটনা শুধু সরকার আর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ইঁদুর-বিড়াল খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কিছু বলার থাকত না। কিন্তু এ মূল্য বাড়ার ঘটনা জনজীবনে শোচনীয় পরিণতি ডেকে আনছে। সীমিত আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়াতে আজ দিশেহারা। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের প্রধান কার্যালয় ১১৬/২ বক্স কালভার্ট রোড পল্টনে, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে 'নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ার কারণ ও করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। নেতারা আরও বলেন, ৩০ টাকার পেঁয়াজ সেঞ্চুরি থেকে ডাবল হাঁকিয়ে যখন ট্রিপল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে এ রকম সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর 'পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে' মন্তব্য কেবল শুধু হাস্যকরই নয়, দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতারও পরিচয় বটে। সারা বিশ্বে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকলেও আমাদের দেশে পেঁয়াজের এ রকম অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ার ঘটনা গোটা জাতিকে হতবাক করেছে। বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের দায়িত্বশীল মন্ত্রী এ রকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতেন। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারকদের চিহ্নিত করে তাদের নামে-বেনামে থাকা গুদাম তলস্নাশির মাধ্যমে এ সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিন। অতি মুনাফা লোভীদের এ দৌরাত্ম্য এখনই সমূলে উৎপাটন সম্ভব না হলে দেশে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ আরেকটি দুর্ভিক্ষের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। সভায় আরও বক্তব্য দেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিলস্নুর রহমান, মামুনুর রশীদ, মো. নূর আলম, মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।