প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নারী গৃহশ্রমিক নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বন্ধ ও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে প্রগতিশীল নারী সংগঠন -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট সৌদি আরবে নারী গৃহশ্রমিক নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বন্ধ ও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল নারী সংগঠন। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সমাবেশে প্রগতিশীল নারী সংগঠনের মধ্যে সিপিবি নারী সেল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, নারী সংহতি, বিপস্নবী নারী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন রয়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরবে নারী গৃহশ্রমিকদের দুঃসহ জীবন ও লাশ হয়ে দেশে ফেরার ঘটনা দেশবাসীকে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (সাড়ে ৮ মাস) ৮৫০ নারী সৌদি থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে আগস্টে ১ দিনেই ১০৯ নারী ফিরেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফিরে আসা প্রায় প্রত্যেকেই শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার। বক্তারা আরও বলেন, দেশের দরিদ্র, প্রান্তিক, সরল, শিক্ষাবঞ্চিত নারীরা ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর আশায় বিদেশে যায় কাজ করতে। কিন্তু পদে পদেই তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতন। প্রবাসী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তারা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন, নির্যাতন সইতে না পেরে সব খুইয়ে দেশে ফিরছেন। সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলেও রেমিটেন্সের গল্প শোনাচ্ছেন। দেশে রেমিটেন্স পাঠনো এ শ্রমিকদের নিরাপত্তায় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও দূতাবাসগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। এসব অনিয়ম ও অবহেলার বিচার যদি হতো তাহলে শত শত গৃহশ্রমিককে লাশ হয়ে ফিরতে হতো না। সমাবেশে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: অনতিবিলম্বে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে নারী গৃহকর্মীসহ অভিবাসী নারী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রম আইন ও বিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মজুরি আদায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অভিবাসী নারী গৃহকর্মী ও শ্রমিকদের শারীরিক মানসিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনীয় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর ও তার দ্রম্নত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।