পরিবহণেও চক্রান্ত বিএনপির

সড়ক আইনের বিধি হচ্ছে সংকট থাকবে না: কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জানে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য তারা বিভিন্ন চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -যাযাদি
নতুন সড়ক পরিবহণ আইনের বিধিমালা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিধি হয়ে গেলেই আর কোনো সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। নতুন আইনটি সংশোধনের দাবিতে মালিক-শ্রমিকরা তিন দিন বাস চালানো বন্ধ রাখার পর বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। তবে বৃহস্পতিবারও বাস চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যান চলাচলে বিঘ্ন্ন ঘটার আর কোনো কারণ নেই। আইন প্রয়োগে অহেতুক বাড়াবাড়ি হবে না। বাড়াবাড়িটা না হলে সমস্যাও হবে না। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি গাইড করছেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি শিওর করেছেন যে, তারা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগে যাবে।' 'বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আইনের বিধিমালাও প্রণয়ন করছি। সেটাও আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। পরিস্থিতি এখন আর অস্বাভাবিক হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবকিছুই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা জনস্বার্থে ধর্মঘট তুলেছেন।' সড়ক আইনের বিধিমালা প্রণয়ন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'আইনটাই সব কিছু নয়, বিধি তৈরি হচ্ছে, প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিধি পেলে আর কোনো সংকট থাকবে না। জেব্রাক্রসিং, সাইন অ্যান্ড সিগনাল এগুলো বিধিতে আছে। মূল বিষয়টা হলো শৃঙ্খলা; সড়কে ও পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। সেটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট, আর সেটাই আমোদের ফোকাস।' দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা নাজুক অবস্থায় নিপতিত। এখন নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে অনেক মিথ্যা কথা বলতে হয়, সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলতে হয়, এগুলো বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে।' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তারা জানে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য তারা এখন চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের এখন কাজই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টি করা, গুজবের ডাল-পালা ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এই দলটা সব সময় কোনো একটা ইসু্য খোঁজে আন্দোলন করার জন্য। যখনই যেটা পায় সেটাকে আঁকড়ে ধরে।' 'সব শেষ পরিবহণেও ব্যর্থ হয়ে এখন তারা হতাশ। গুজবের ওপর ভর করে রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে গুজব ছড়ানোর। এর ফলে দিনের পর দিনই কেবল সংকুচিত হচ্ছে তারা।'হস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির এক বৈঠকে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের।