সিগারেট আমদানি লাইসেন্স বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট তামাক কোম্পানিগুলোকে বিদেশি সিগারেট আমদানির লাইসেন্স দেওয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপিস্নমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম রফিকুল ইসলাম মিলন এবং এএফআইবির কো-অর্ডিনেটর ইবনুল সাঈদ রানাসহ সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে তামাকের ব্যবহার বন্ধে কাজ করছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে যার অন্যতম কারণ হলো তামাকের ব্যবহার। এছাড়া লক্ষণীয় বিষয় হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তামাক একটি অন্তরায়। এসডিজি অর্জনে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের বিকল্প নেই। যেখানে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার প্রতিনিয়ত তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর, সেখানে তামাক কোম্পানিগুলো তাদের মৃতু্য বিপণন কার্যক্রম চলমান রাখতে একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে, দেশে ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার জনের অকাল মৃতু্য হয়েছে, যা এ সময়ের সব মৃতু্যর ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পাশাপাশি তামাকজনিত ব্যাধি ও অকাল মৃতু্যর কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে যা বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এ অকাল মৃতু্যরোধে আমাদের দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। এ সময় বর্তমানে দেশে বিভিন্ন কোম্পানিকে তামাক উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও বাণিজ্যিক আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) দেওয়া হয়েছে, যা তামাক ব্যবসার প্রসার ঘটাতে প্রত্যক্ষ উৎসাহ বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের কোনো তামাক কোম্পানিকে বাণিজ্যিক আইআরসি দেওয়া থেকে বিরত থাকার দাবি জানান।