বিএনপি নিবার্চনে আসবে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তোফায়েল

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
‘বিএনপি একটি বড় দল। তারা বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের নিবার্চনে অংশ না নিয়ে তারা ভুল করেছে। যে কারণে এবারের নিবার্চনে তারা অংশ নেবে বলেই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। একই ভুল তারা দ্বিতীয়বার করবে না। তারা এটা জানে, জ্বালাও-পোড়াও করে সরকারের পতন ঘটানোর কোনো শক্তি তাদের নেই। এটা তারাও বুঝতে পারে। এই কারণে তারা ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও করছে না’Ñ মন্তব্য বাণিজ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের। রোববার দুপুরে বাংলাদেশস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত জাং ঝুয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বিএনপি নিবার্চনে অংশ নেবে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নিবার্চন হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। উদ্বেগেরও কিছু নেই। নিবার্চন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সংবিধান অনুযায়ী কমিশন নিবার্চন অনুষ্ঠান করবে। এ নিয়ে সংলাপ, বৈঠক, আলাপের কিছু নেই। তিনি বলেন, বিগত সময়ের মতো জ্বালাও-পোড়াও করলে বিএনপি গভীর সংকটে পড়বে। তা উপলব্ধি করেই তারা এখন ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও কমর্সূচিতে যাচ্ছে না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের নিবার্চনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি যে ভুল করেছে তারা এখন উপলব্ধি করে বলে আমার ধারণা। তাদের মতো একটি বৃহত্তর দলের প্রধান দুনীির্ততে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন। এতে সরকারের কোনো হাত নেই। আদালত তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে তিনি ছাড়া পাবেন কি পাবেন না। তাই বিএনপির নিবার্চনে অংশ নেয়া ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, গতকালও সিলেটে বিএনপির প্রাথীর্ জিতেছে। নিবার্চন নিরপেক্ষ না হলে তো তিনি জিততে পারতেন না। আমরা দুটিতে জিতেছি। তারা একটিতে জিতেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, তারা নিবার্চনে অংশ নেবে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, যখন সংলাপের প্রয়োজন ছিল তখন তারা সংলাপে অংশ নেয়নি। আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল নিবার্চনকালীন সময়ে ক্ষমতায় থেকে দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করবে, কিন্তু নিবার্হী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না। নিবার্চন কমিশন নিবার্চন পরিচালনা করবে। এটা পরিষ্কার, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। নিবার্চনকালীন সরকারে বিএনপির অংশ নেয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিবার্চনকালীন সরকার হবে বতর্মান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলোর সদস্যদের নিয়ে। এটার একমাত্র এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ঠিক করবেন, এ সরকার ছোট হবে না, বড়।