হাইকোর্টে জামিন পাননি রাজউকের সাবেক প্রকৌশলী

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিধি লংঘন করে এফআর টাওয়ার নির্মাণ করার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, তার জামিন কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইনজীবীকে তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে গতকাল দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে শুনানি করেন মো. কামরুল ইসলাম। গত ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশের পর গত ২৮ নভেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান। ঘটনার বিবরণে দেখা যায়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায় পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬-এর বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ৩২, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী এবং ঢাকায় এফআর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ১৫ তলার স্থলে ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক পাঁচজনকে আসামি করে গত ২৫ জুন মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। যেকোনো সময় আদালতে দাখিল করা হবে। চলতি বছরের ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এর পরপরই ভবনটির নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। এফআর টাওয়ার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২৫ জন মৃতু্যবরণ করেন এবং ৭৩ জন পঙ্গু হয়ে যান। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ইজারা গ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রুপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম এবং রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহমেদ।