চুয়েটের চতুর্থ সমাবর্তন

গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন -যাযাদি
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করা হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়। বন্ধ হয় মানুষের বাক্‌-মতামত ও চিন্তার স্বাধীনতা। তবে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের গণতন্ত্র আজ মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত।' বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মো. আবদুল হামিদ বলেন, 'ইতোমধ্যে আমাদের স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল তা আজও আমরা পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি।' তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ সহ শতবছর মেয়াদি ব-দ্বীপ ২১০০ পরিকল্পনা নিয়েছেন। 'এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ আমার দৃঢ়বিশ্বাস।' রাষ্ট্রপতি বলেন, 'বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশের রয়েছে বিপুল মানব সম্পদ। উর্বর কৃষিভূমি ও সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ। জনবহুল এদেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার।' তিনি বলেন, প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকতে হবে দূরদর্শী চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। 'আগামী ২০৫০ সালে এবং ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা বাংলাদেশের অবস্থান কোন স্তরে পৌঁছাবে- তা বিবেচনায় রেখেই প্রকৌশলীদের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।' মো. আবদুল হামিদ বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। আত্মমর্যাদা সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।' 'আমি আশা করি, আজকের নবীন প্রকৌশলীরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে উপলব্ধি করবে। তাদের সৃজনশীল চিন্তা ও লব্ধ জ্ঞানকে এ লক্ষ্যে কাজে লাগাবে।'