বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গেছে

১৪ দলের সভায় নাসিম

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহম্মদ নাসিম। পাশে অন্যদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু -যাযাদি
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য রাজপথে নয়, কোর্ট প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের নিয়মিত সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'আমরা সব সময় বলি আইন, আইনের মতো চলবে। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আইন যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটি আমরা সম্মান করি। ১৪ দলে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তিকে চূড়ান্ত পরাজিত করব নির্বাচনের মাঠে হোক বা রাজপথে হোক।' আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, 'আমরা ১৪ দল এখনো মনে করি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার নেপথ্যের খলনায়কদের বিচার হয়নি। শুধু মুশতাক নয়, বেইমান জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কারিগর। তার নির্দেশে, পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলখানায় স্বাধীনতার ৪ মহানায়ককে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করার জন্য ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।' তিনি বলেন, 'যে তাকে (জিয়াউর রহমান) মুক্ত করেছিল, সেই কর্নেল তাহেরকেও হত্যা করেছিল। হত্যা করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, বিভিন্ন সেনানিবাসে অনেক সৈনিককে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আমরা ১৪ দল থেকে বারবার বলেছি, আইনমন্ত্রীকে বলেছি, কমিশন গঠন করে এই মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করুন। জিয়াউর রহমানের বিচার না হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে না। এই মূল খলনায়কের বিচার হতে হবে বাংলার মাটিতে।' সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লড়াই করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। মা-বোন ইজ্জত দিয়েছিল। সেই মহান বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমাদের বেদনা হলো, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছিলাম। জাতির জনককে সপরিবারে আমরা হারিয়েছিলাম। আলস্নাহর রহমতে বিদেশে থাকার কারণে জাতির জনকের ২ কন্যা, একজন বর্তমানে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছিলাম, বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানাকে পেয়েছিলাম।' তিনি বলেন, 'জেলখানায় আমরা জাতীয় ৪ নেতাকে হারিয়েছিলাম ৩ নভেম্বর। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। ৭১-এর ঘাতকের বিচার হয়েছে। ১৪ দলের ডিসেম্বরের কর্মসূচি জানিয়ে নাসিম বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে ১৪ দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্মৃতিসৌদে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।' ডিএপি সারের দাম কমানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি প্রমুখ।