ঢাকার ঝুঁকিপূণর্ ভবনের তালিকা চায় হাইকোটর্

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর ঝুঁকিপূণর্ সব ভবনের তালিকা চেয়েছে হাইকোটর্। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূণর্ ভবনের তালিকা করে ফায়ার সাভির্স, রাজউক এবং গণপূতর্ মন্ত্রণালয়কে এই নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, গুলশান শপিং সেন্টারের ছয়তলা ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন ধ্বংস করতে কেন নিদের্শ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর ঝুঁকিপূণর্ বিল্ডিং শনাক্ত করে রাজউক, গণপূতর্ মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সাভির্সকে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়ার নিদের্শ কেন দেয়া হবে না রুলে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে গণপূতর্ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জনস্বাথের্ দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোটের্র বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুবায়দা গুলশান আরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনির্ জেনারেল একরামুল হক টুটুল। ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, ঢাকা শহরের সব ঝুঁকিপূণর্ ভবনের তালিকা তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নিদের্শ দিয়েছে হাইকোটর্। ফায়ার সাভির্স, রাজউক ও গণপূতর্ মন্ত্রণালয়কে এই নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর এই তালিকা দাখিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ফায়ার সাভিের্সর অগ্নিপ্রতিরোধ নিবার্পন আইন ২০০৩-এর আওতায় গুলশান শপিং সেন্টারকে ব্যবহার অনুপোযোগী ঘোষণা করা হয়। এ কারণে ওই ভবন ভাঙার নিদের্শনা চেয়ে গত ৯ আগস্ট স্বদেশ নামে একটি এনজিওর নিবার্হী পরিচালক মো. হানিফ জনস্বাথের্ হাইকোটের্ রিট দায়ের করেন।