৩৫ বাস্তবায়নে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে কর্মসূচি পালন

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি চাকরিতে যোগদানের বসয়সীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৯ম দিনের মতো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। চারকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরের উন্নীতকরণ, অমানবিক আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া এবং ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। টানা ৯ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা গণ-অনশন পালন করছেন। তাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। এছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত ৪১তম সাধারণ বিসিএস পরীক্ষার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সেখানে আবেদনের জন্য ৩৫ বছর অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, 'গত ৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাফন গণ-অনশ করে আসছি। অথচ দীর্ঘ ৮ দিন পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সাড়া না পাওয়াতে সারা বাংলাদেশের প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষিত যুবসমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। আমাদের সার্টিফিকেট মেয়াদহীন করে ফেলেছে দেশ ও জাতি। যেহেতু আমাদের সার্টিফিকের কোনো মেয়াদ নেই, তাই এই সার্টিফিকেট দিয়ে আমরা কী করব? তাই আমরা সার্টিফিকেট আগুনে পুড়ে ফেলেছি।' মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, সরকার নির্বাচনী ইশতিহারে রেখেও ২৮ লাখ যুব সমাজের সঙ্গে টালবাহানা করে যাচ্ছে। এ টালবাহানা আর অবজ্ঞা করার সুযোগ সরকারকে আর দেওয়া হবে না। সহ্যের সীমানা পার হয়ে গেলে যৌক্তিক এ অহিংস আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের সন্তানস্বরূপ বিবেচনা করে যৌক্তিক দাবি মেনে নিন। সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, 'আমাদের মেধার মেয়াদ যেহেতু শেষ, এখন আমাদের বেঁচে কী লাভ? তাই আমাদের এ কাফন গণ-অনশন শুরু হয়েছে। হয়তোবা সরকার আমাদের জন্য ৩৫ বছর অনুমোদন দেবে নতুবা আমরা লাশ হয়ে ঘরে ফিরব।' রেশমা আক্তার নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন, ৩৫ বছর করাসহ ৪ দফা দাবিগুলো সময়ের সেরা যৌক্তিক দাবি। এসব দাবি মেনে নিতে কালক্ষেপণ করলে শুধু সরকারের জন্যই না, জাতির জন্যও বড় ক্ষতি।