আলোচনা সভায় বক্তারা

'সুবিচার দিতে হলে কে খুশি অখুশি তা ভাবা চলবে না'

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেছেন, 'বিচারপ্রার্থীদের সুবিচার দিতে হলে, কে খুশি হলো আর কে অখুশি হলো, কে বিরাগভাজন হলো, বিচারকদের এসব ভাবলে চলবে না। তাছাড়া আমাদের দেশে জাজমেন্টের পর কোনো সমালোচনা হয় না।' শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন' আয়োজিত 'নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের এক যুগ শীর্ষক' মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, 'যেটি সঠিক, যেটি সত্য ও ন্যায়সঙ্গত, তা রায়ে স্বাধীনভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের চরিত্রে এবং অনুভূতিতে স্বাধীনতার বোধ থাকা প্রয়োজন, তাহলেই সত্যিকারের স্বাধীনতা আসবে।' তিনি বলেন, 'শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থার জন্য বারকে (আইনজীবী সমিতি) শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। বার যদি ইউনাইটেড (ঐক্যবদ্ধ) থাকতো, দুটি ভাগে বিভক্ত না হতো, তাহলে বিচার প্রার্থীদের সুবিচার পেতে আরও বেশি সহায়ক হতো।' অবসরপ্রাপ্ত এ বিচারপতি বলেন, 'আমাদের চরিত্রে এবং অনুভূতিতে স্বাধীনতার বোধ থাকা প্রয়োজন, তাহলেই বিচার বিভাগে সত্যিকারের স্বাধীনতা আসবে।' 'আমাদের দেশে জাজমেন্টের (আদেশ) পর কোনো সমালোচনা হয় না। জাজমেন্টের সমালোচনা করলেই কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) হবে, বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। ন্যায়বিচার মানে মনিবের আনুগত্য নয় বরং আইনের আনুগত্য। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বার এবং বেঞ্চ এর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা করা প্রয়োজন', বলেন বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। \হমূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমান খান। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মাসদার হোসেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।