বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

বছরের শুরুতে রপ্তানি আয়েও সুখবর

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
প্রবাসী আয়ের মতো রপ্তানি আয়েও সুখবর নিয়ে শুরু হলো ২০১৮-১৯ অথর্বছর। অথর্বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি অথর্ দেশে এসেছে। পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশের মতো। ‘শুরুটা খুব ভালো হলো’ মন্তব্য করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীষর্ সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কারখানাগুলোর উন্নয়নে পোশাকশিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কষ্টও করেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি কারখানা উন্নত কমর্পরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) আওতায় চলে এসেছে। এতে বায়াররাও খুশি।’ মূলত এ কারণেই বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে এবং ক্রয় আদেশ ও রপ্তানি বেড়েছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি। শুরুটা যেমন ‘ভালো’ হলো, শেষটাও ‘তেমন’ হওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত অথর্বছরের মতো চলতি অথর্বছরেও পোশাক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে আমার বিশ্বাস। লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করবে।’ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক জায়েদ বখত বলেন, ‘এক মাসের তথ্য দিয়ে বলা যাবে না পুরো অথর্বছর কেমন যাবে। তবে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছে।’ মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অথর্বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৫৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত ২০১৭-১৮ অথর্বছরের প্রথম মাসে ২৯৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। এই মাসে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ইপিবির তথ্য পযাের্লাচনায় দেখা যায়, জুলাইয়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। অথার্ৎ ৩৫৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের মধ্যে ৩০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলারই এ খাত থেকে এসেছে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ১৫২ কোটি ৭১ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৪৯ কোটি ডলার; প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অন্য পণ্যের মধ্যে জুলাইয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ। হস্তশিল্প থেকে আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ। এ ছাড়া প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি ১৩ শতাংশ, তামাক ৯৭ শতাংশ, শাকসবজি ৪৭ শতাংশ এবং শুকনো খাবার রপ্তানি ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে হিমায়িত মাছ রপ্তানি ৩১ শতাংশ কমেছে। চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ২২ শতাংশ। চা রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৭-১৮ অথর্বছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ (৩৬.৬৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করে। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। সাবির্ক রপ্তানি ২০১৬-১৭ অথর্বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বাড়লেও তা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২২ শতাংশ কম।