ওয়ান টাইম পস্নাস্টিক পণ্য বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
হাইকোর্ট
পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক (ওয়ান টাইম) পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে এক বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন উচ্চ অদালত। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত এক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এক বছরের মধ্য দেশের উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য পলিথিন, পস্নাস্টিক ব্যাগের এবং একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক পণ্যের ব্যবহার, বহন, বিক্রি ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইন অনুসারে নিষিদ্ধ পলিথিন ও পস্নাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি কঠোরভাবে কার্যকর করতে বাজার তদারকি, পলিথিন উৎপাদন কারখানা বন্ধ ও যন্ত্রপাতি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে (এক বছর) একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক পণ্য হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁয় একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি হলফনামা আকারে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই বছরের ১০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয় কার্যতালিকায় আসবে, বলেছেন আলাদত। পলিথিন, পস্নাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক পণ্যর যত্রতত্র ব্যবহার, উৎপাদন ও বিক্রির বৈধতা নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলাসহ ১১টি সংগঠন এ রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সঙ্গে ছিলেন সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সাইফুদ্দীন খালেদ। রুলে আইন অনুসারে পলিথিন, পস্নাস্টিক ব্যাগ, একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তত্ব-বহির্ভূত হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পলিথিন বা পস্নাস্টিক ব্যাগ এবং একবার ব্যবহার্য পস্নাস্টিক পণ্যর নিরাপদ বিকল্প নিরূপণে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন একটি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বন ও পরিবেশ সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, বস্ত্র পাট সচিবসহ আট বিবাদীকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।