সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

ভোটের আগে মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা কম

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের -যাযাদি
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ বা পুনর্বিন্যাস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইসু্য নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা রদবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমি তো আপনাদের আগেই বলেছি- এটা রুটিন বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আমার মনে হয় না কোনো ধরনের এক্সপানশন বা রিশাফলিং এসব কিছু হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।' আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দলে পদ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের এমন কয়েকজন নেতা মন্ত্রিসভার সদস্য, তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সেটাও প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তিনি যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই হবে, দ্যাট ইজ ফাইনাল। আমরা সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে নেব। তিনি যদি আমাকে বলেন ছেড়ে দাও, আমি ছেড়ে দেব। এটা কোনো বিষয় নয়।' কোনো কোনো মন্ত্রীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্নে উঠছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, 'আমাদের জবাবদিহিতা হচ্ছে সার্বিকভাবে জনগণের কাছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়বদ্ধ। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের পারফরমেন্স তার হাতে আছে, বিচার বিশ্লেষণ তিনিই করছেন। আপনারা জানেন ১০ জন সিনিয়র সচিব অলরেডি বিদায় নিয়েছেন, নতুন ১০ জন এসেছেন। এদের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সবার পারফরমেন্সের বিষয়টি দেখছেন। পারফরমেন্স অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন হয়, পরিবর্তন হয়। যখন পরিবর্তন হবে তখন আপনি বুঝতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী কোন কোন মন্ত্রণালয়ের কাজকে ভালভাবে দেখছেন, আর কোথায় পারফরমেন্স সঠিক হচ্ছে না। এগুলো তো বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।' সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভায় তার নতুন সহকর্মীদের প্রতি সমর্থনও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, 'নতুন মন্ত্রীরা খারাপ করছেন না, প্রথম আসলে একটু অসুবিধা তো হয়, সচিবরা তো পারদর্শী তারা কাজগুলো বোঝেন, নতুন কেউ মন্ত্রী হলে বুঝতে বুঝতে এক বছর চলে যায়।' সড়ক পরিবহণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সড়ক পরিবহণ আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু বিষয় সহনীয়ভাবে দেখছি, আইনের বাস্তবায়ন চলছে, আমাদের জনবলের সংকট আছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি, বর্তমান সংকট মোকাবেলায় জনবল যথেষ্ট না।' মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়ে তিনি বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, যেভাবে আমেরিকা ও ইরান মুখোমুখি অবস্থানেৃ বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার শংকা করছেন বিশ্লেষকরা, এটাতো আমরা এড়াতে পারব না। তেলের দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও আসবে। আমরা চাই তারা যুদ্ধ থেকে সরে আসুক এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সামাধন করুক।' বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তার দলের লোকেরা যা বলে চিকিৎসকদের স্টেটমেন্টের সাথে মিল নেই। এখানে চিকিৎসার ব্যাপার চিকিৎসকদের, যত আপন লোকই হয়, চিকিৎসার কি বুঝবে। চিকিৎসকদের যে বোর্ড সেখানে বিএনপির লোকও আছে। তারা তো বলছে না তার শারীরিক অবস্থা অতটা খারাপ। খালেদা জিয়ার বার্ধক্যের কারণে একজন যুবকের মত থাকার কথা না। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের কাছে মনে হয় এ বিষয় নিয়ে বিএনপি যতটা রাজনীতি করছে শারীরিক অবস্থা ততটা খারাপ নয়। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে এবং রাজনৈতিক ইসু্য খোঁজার চেষ্টা করছে।'