এ বছর ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ১ থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএনসিসি নিজে আর ৩৭ থেকে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সি ৫ লাখ ৮০ হাজার ১৯০ শিশুকে খাওয়ানো হবে এই ক্যাপসুল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ডিএনসিসি নগর ভবনে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবদুল হাই বলেন, আগামী শনিবার (১১ জানুয়ারি) সারাদেশে ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এই কার্যক্রমে ডিএনসিসি এলাকায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বিনামূল্যে।
শনিবার সকাল ১০টায় মিরপুর-১ মাজার রোড সংলগ্ন নেকিবাড়িরটেক নগর মাতৃসদন থেকে ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে শিশুদের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর ওপর একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোস্তফা সারওয়ার।
তিনি জানান, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন 'এ' সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। এটি চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন 'এ'-র অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা, এমনকি শিশুর মৃতু্যও হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দু'বার ভিটামিন 'এ'-র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এ ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবে।
