ইভিএম অধিকার কেড়ে নেওয়ার স্থায়ী প্রকল্প: খসরু

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী -যাযাদি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার চিরতরে কেড়ে নেয়ার একটি যন্ত্র হচ্ছে ইভিএম। এই ইভিএম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ইভিএম যদি আপনারা বন্ধ করতে না পারেন তাহলে আপনারা ভোটাধিকার চিরতরে হারাতে বাধ্য হবেন। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের উদ্যোগে 'এক-এগারোর প্রেক্ষাপট আজকের বাংলাদেশ' রচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, সামনের সিটি করপোরেশন নির্বাচন নাকি ইভিএমের মাধ্যমে হবে। মধ্যরাতের নির্বাচনে ব্যালট চুরির মাধ্যমে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে দিনে-দুপুরে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। সুতরাং এখন আর ব্যালটবাক্স ভর্তি করে কারচুপি করে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। কারণ সেটি এখন তাদের কাছে অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেছে। কারণ এটা বিশ্ববাসী এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভোট কারচুপির নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই কারণে এটা এখন তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আগে আলোচনা হতো নির্বাচনে কে জিতবে এখন আর সেটি আলোচনা হয় না, আলোচনা হয় এই সিটটি ওরা দেবে- না ওরা নিয়ে নেবে। ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ওরা কি দুটোই নিয়ে নেবে নাকি একটি দিয়ে দেবে; এইগুলো এখন জনগণ আলোচনা করে। আর এটার জন্য ইভিএম হচ্ছে তাদের মোক্ষম একটি অস্ত্র। খসরু বলেন, ১/১১-তে একটি দল লাভবান হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের বেনিফিসিয়ারি হয়েছে আওয়ামী লীগ। আমার কাছে আবার এই বিষয়টি ভালো লাগে তারা আবার স্বীকার করে এটি, যে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। আজ যারা ক্ষমতায় তারা ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে যার ফলে ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে মধ্যরাতের নির্বাচন হয়েছে। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন খান পিপিএমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুলস্নাহ, সাবেক কমিশনার অধ্যাপিকা ফাতেমা সালাম, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।