একসঙ্গে ভোট ও পূজা হাস্যকর হিন্দু পরিষদ

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন মিশ্র বলেছেন, ভোট ও পূজা-দুটোই পবিত্র কাজ, এটা ঠিক। কিন্তু ভোট ও পূজা একসঙ্গে হবে, এটা হাস্যকর। বুধবার গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত বলেছে, ৩০ জানুয়ারিই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হবে। এরপর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, ভোট ও পূজা দুটোই পবিত্র কাজ। এই সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে ভোট ও পূজা হবে। সরস্বতী পূজার দিন সিটি নির্বাচন নয়, এই দাবি প্রথম তোলে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ নামের এই সংগঠনটি। ভোটের দিন পরিবর্তন না করার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাজন মিশ্র বলেন, 'একসঙ্গে পূজা ও নির্বাচন সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটলে এর সম্পূর্ণ দায় নির্বাচন কমিশনের।' তিনি বলেন, 'ভোট ও পূজা একসঙ্গে হলে অবশ্যই বিঘ্ন ঘটার একটা শঙ্কা থাকে। পূজাতে অনেক ছেলেপেলে, ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে পূজামন্ডপে যাবে। ওখানে যদি ভোটকেন্দ্র থাকে, তাহলে কিন্তু একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে এখানে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা আছেই। এখানে বিঘ্ন ঘটলে সেই দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।' আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাজন মিশ্র বলেন, 'বিচার বিভাগের ওপর আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা আছে। হয়তো আমরা তাদেরকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের সরস্বতী পূজার লগ্ন হলো উষা-লগ্ন। আমরা ২৯ জানুয়ারি উষা-লগ্ন পাচ্ছি না। ৩০ জানুয়ারি পাব। বিচারপতি মনে করেছেন যে, ২৯ জানুয়ারি পঞ্চমী তিথি আছে, এই দিনই তো ভালো, এদিনই হবে। কিন্তু সরস্বতী পূজা তো উষা-লগ্ন ছাড়া হয় না। এটাই হয়তো হাইকোর্টকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।' শিক্ষার্থীরা পূজার জন্য ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, তাতে তাদের সংগঠনের সমর্থন রয়েছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছিলেন, 'তাত্ত্বিক দিক থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা হওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা পূজা করবেন। পূজার কক্ষগুলো ছেড়ে দিয়েই বাকি কক্ষগুলোতে ভোট হবে।' তিনি বলেন, 'পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন চলবে। পূজা যেখানে হবে এমন নয়তো যে সেখানে নির্বাচন করা যাবে না। দুটোই করা যাবে একসঙ্গে। নির্বাচন ও পূজা দুটোই পবিত্র কাজ।' আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে ইসি সচিব আলমগীর বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে- কেন তারা এ ধরনের কথা বলেছেন, আমাদের তা বোধগম্য হয়নি। আমরা মনে করি না যে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটবে। আদালতের রায় সবাই মাথা পেতে নেবে বলেই আমরা মনে করি।'